মন্ত্রী: ধূমপানের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক নেই!

যারা ধূমপান করেন না, তাদেরও ক্যান্সার হচ্ছে। যে কারো এটা হতে পারে। খাদ্যাভ্যাস, পানাভ্যাস ও জীবনযাপনের পদ্ধতি থেকে ক্যান্সার হতে পারে। এর সঙ্গে তামাকের কোনো সম্পর্ক নেই- এমন দাবি করেছেন ভারতের রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসাদী লাল মীনা।

রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসাদী লাল মীনা

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার আয়োজিত এক সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানান, ক্যান্সারের একমাত্র কারণ তামাক নয়। কারণ যারা তামাক সেবন করেন না বা বিড়িতে আগ্রহ নেই, তাদেরও এই মরণব্যাধি হয়, হচ্ছে।

নিজের জানাশোনা ও অভিজ্ঞতা থেকে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেখা যায় যারা তামাক প্রবলভাবে সেবন করেন, তারা ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন না। আমি এমন এক গ্রামে বসবাস করতাম, যেখানে অনেকেই দিনে ২০ বার তামাক সেবন করতেন। কিন্তু তারা জীবনেও ক্যান্সারের শিকার হননি। এমনি ৮০, ১০০ বয়সেও আক্রান্ত হননি। আবার যারা তামাক সেবন করতেন না, তারা আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাক ব্যবহার ক্যান্সারের বড় কারণ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাক ব্যবহারের কারণে কার্ডিওভাসকুলার এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগসহ ২০টিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে।

উল্লেখ্য, বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রাজ্যে তামাক সেবন রুখতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার উত্তরে এসব কথার পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, শহরগুলোতেও ক্যান্সার হচ্ছে। যারা সেখানে ধূমপান করেন না, তাদেরও হচ্ছে এই ব্যাধি। তাই ক্যান্সারের সঙ্গে ধূমপানের কোনো সম্পর্ক নেই। ক্যান্সার যে কারো হতে পারে। এটা খাদ্যাভ্যাস, পানাভ্যাস, জীবনযাপন থেকেও হতে পারে। এর সঙ্গে তামাকের কোনো সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, ভারতের রাজস্থানে ক্যান্সার ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত দুই মাসে রাজ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় চার হাজার মানুষকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ২৭৮ জনের ক্যান্সার হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসাদী লাল মীনা জানান, যাদের শরীরে ক্যান্সারের চিহ্ন দেখা গেছে, তারা আপাতত হাসপাতালে ভর্তি আছে।