ইমরান: তালেবানের বিকল্প নেই

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে তালেবানের কোনো বিকল্প নেই। তাই বিশ্ববাসীর উচিত তালেবানদের সাথে সংযুক্ত হয়ে, তাদের সাথে মিলেমিশে সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে যাওয়া। খবর জিও নিউজের।

সিএনএনের ফরিদ জাকারিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমরান খান

গতকাল রোববার সিএনএনের ফরিদ জাকারিয়াকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমরান খান আফগানিস্তানে নতুন তালেবান সরকারের সাথে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বর্তমান অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। ইমরান বলেন, এখন হোক বা পরে, শিগগির অথবা বিলম্বে- আফগানিস্তানের বর্তমান প্রশাসন তালেবানকে স্বীকৃতি দিতেই হবে। চার কোটি আফগানের মঙ্গল ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তা করতে হবে।

চলমান পরিস্থিতির কারণে আফগানিস্তানের চার কোটি মানুষ গুরুতর সংকটে রয়েছে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বোঝা উচিত, তালেবান সরকারকে অপছন্দ করা এক জিনিস, আফগানদের কল্যাণের কথা চিন্তা করা পুরোপুরি ভিন্ন আরেকটি বিষয়।

তালেবান প্রশাসন স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আফগানিস্তান সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের সম্মুখীন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে তালেবানের কোনো বিকল্প নেই।

তালেবান সরকার উৎখাত হলে তা আফগানিস্তানের জনগণের জন্য কতটা উপকারী হবে- এ প্রশ্ন রেখে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগানদের স্বার্থেই আমাদের একমাত্র বিকল্প হল তালেবান সরকারের সাথে কাজ করা। কারণ তালেবানকে ফিরিয়ে দিলেই দেশে আরো বেশি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।

কথিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে সন্ত্রাসীদের সংখ্যা বাড়িয়েছে অভিযোগ করে ইমরান খান বলেন, যুদ্ধের কারণে পাকিস্তানে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ৮০ হাজারের বেশি পাকিস্তানি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। অসংখ্য আত্মঘাতী হামলার সাক্ষী হয়ে পাকিস্তানকে আফগানিস্তানে যুদ্ধের ফল ভোগ করতে হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ইমরান খান চীনের উইঘুর মুসলমাদের অবস্থা, কাশ্মিরের পরিস্থিতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন। কাশ্মিরের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে ভারতের সাথে যোগাযোগ করি এবং দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলোকে ঠিক করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেছিলাম, যদি তিনি এক ধাপ এগিয়ে আসেন, আমি দুই ধাপ এগিয়ে যাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভারত আরএসএস মতাদর্শেই পড়ে আছে।