অচল ইউক্রেন, স্থবির সরকারি কর্মযজ্ঞ

সীমান্তে সতর্কাবস্থায় সেনাবাহিনী। দেশের ভেতরও সবাই সতর্ক। যাতে কোনো দিক দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালাতে না পারে রাশিয়া। কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎই অচল হয়ে গেল অনেক কিছু।

এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে বিপাকে জনগণ

ইন্টারনেট পরিষেবা থমকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সরকারি কাজকর্ম। একের পর এক অচল হয়ে পড়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক ওয়েবসাইটগুলো। প্রতিরক্ষা কার্যক্রম যেমন থমকে দাঁড়ায়, তেমনি কাজ বন্ধ করে দেয় ব্যাংকগুলোর হাজার হাজার এটিএম বুথও। হতভম্ব হয়ে পড়ে ইউক্রেনের প্রশাসন ও সাধারণ জনগণ।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ এ সাইবার হামলায় ইউক্রেন আঙুল তুলেছে রাশিয়ার দিকে। আর বরাবরের মতোই রাশিয়া এ ধরনের কোনো কিছু সাথে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

সাইবার হামলা

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, তাদের ওয়েবসাইটেও হানা দেয়া হয়েছে। কোনোভাবেই কেউ তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছে না। এই ধরনের সাইবার হানাকে বলা হচ্ছে ‘ডিট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস (ডিডিওএস)’। কিয়েভ জানায়, এর আগেও একাধিকবার ইউক্রেনে এ ধরনের সাইবার হানা চালিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এ বারের হামলার ব্যাপ্তি অনেক।

অন্যদিকে ব্যাংকগুলো জানায়, সাইবার হামলায় আচানক সবকিছু থেমে যায়। এটিএম বুথগুলো হ্যাং হয়ে গেছে। মোবাইলে ইন্টারনেট থাকলেও এগুলো দিয়ে কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। একাধিক ব্যাংকে মূল সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রদেশের সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট মহড়া শেষ হওয়ায় তারা নিজ নিজ ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেন সীমান্ত ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তারা বাহিনীর কত অংশ বা কী পরিমাণ সৈন্য সরছে তার কোনো হিসেব দেয়নি পুতিন সরকার। রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় যুদ্ধের উত্তেজনা খানিকটা যেমন কমেছে, তেমনি এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো কিছু জানা না থাকায় উৎকণ্ঠাও বেড়েছে।