রাশিয়া: কাজে লাগেনি মার্কিন জুজুর ভয়

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো কয়েকদিন ধরে বলে আসছিল, রাশিয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালাবে। অন্যদিকে মস্কো বরাবরই দাবি করেছে, তারা মহড়ার জন্য সেনা মোতায়েন করছে, হামলার জন্য নয়। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব মস্কোর সে দাবিতে আস্থা রাখেনি। তবে কোনো ধরনের হামলা ছাড়াই বুধবার অতিক্রান্ত হওয়ায় মার্কিন জুজুর ভয় ব্যর্থ হয়ে গেছে বলে দাবি করছে রাশিয়া।

সের্গেই ল্যাভরভ ও মেভলুদ কাভুসোগ্লো

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালী করার ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুদ কাভুসোগ্লোর সাথে এক টেলিফোনালাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবে। কিন্তু এদিন মস্কো উল্টো ইউক্রেন সীমান্ত থেকে তাদের কিছু সেনা সরিয়ে নিয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র তার ইউরোপীয় মিত্রদের নিয়ে সামরিক দিক দিয়ে রাশিয়ার ক্ষতি করতে চেয়েছিল এবং এক্ষেত্রে ইউক্রেন ছিল একটি অজুহাত মাত্র।

ফিরে যাচ্ছে রুশ সেনা

বর্তমানে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করতে চায় বলে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো অভিযোগ করলেও মস্কো বারবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানিয়েছে, দেশটি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এবং সে পূর্বদিকে ন্যাটো জোটের বিস্তার বিশেষ করে এই জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিরোধী। ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না- এ মর্মে রাশিয়া গ্যারান্টি চাইলেও আমেরিকা সেটা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এ সময় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী করার এবং দেশটিকে উসকানি দেয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা মেনে নেয়া রাশিয়ার পক্ষে অসম্ভব। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে না চাইলেও এ সংক্রান্ত প্রচারণার যে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেন ল্যাভরভ।