‘আকসা সপ্তাহে’ অংশ নেবে ৫০ দেশ

ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান জেরুজালেমের আল আকসার প্রতি ভালোবাসা ও সচেতনতা বাড়াতে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে আকসা সপ্তাহ। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত চলা এই বিশেষ সপ্তাহে অংশ নেবে ৫০টি দেশ। ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার এবং আল আকসার পবিত্রতা রক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডস অব আল আকসা (এফওএ) এর আয়োজন করছে। খবর আরব নিউজের।

বায়তুল মুকাদ্দাস প্রাঙ্গণ

এফওএ জানায়, আকসা সপ্তাহ চলাকালে মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় কাউন্সিল ও পার্লামেন্টে আল আকসার ঐতিহ্য তুলে ধরে আলোচনা, কর্মশালাসহ নানা ধরনের শিক্ষামূলক ইভেন্টের আয়োজন করবে তারা। পাশাপাশি আল আকসাকে ঘিরে রাখা সমস্যা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার বিবরণও তারা তুলে ধরা হবে।

ফ্রেন্ডস অব আল আকসা আরো জানায়, মসজিদ আল আকসার গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার বিষয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহ।

হ্যাশট্যাগ লাভ আকসা

এফওএ-এর চালু করা আল আকসা সপ্তাহের মূল লক্ষ্যই হলো বায়তুল মুকাদ্দাস এবং এর ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। সেই সাথে আল আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনি জনগণ যে বিপদের মুখোমুখি তা-ও বিশ্ববাসীকে জানানো।

এফওএ আরো জানিয়েছে, সপ্তাহটি উপলক্ষে আয়োজিত বেশ কয়েকটি ইভেন্ট তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি টিভি ও রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এছাড়া তারা #LOVEAQSA কে এ বছরের হ্যাশট্যাগ হিসেবে বেছে নিয়েছে।

গতবছর পালিত আকসা সপ্তাহ তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার ধর্মবিষয়ক বিভাগ, ইরাকি সরকার, ফিলিস্তিনি আওকাফসহ সরকারি বিভাগ এবং বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবিশ্বাস্য সমর্থন লাভ করেছে বলেও জানিয়েছে এফওএ।

আল আকসা মসজিদ যেমন মুসলমানদের কাছে অতি পবিত্র, তেমনি ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের কাছেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। কিন্তু সবার মধ্যে সহানুভূতি জাগিয়ে তোলার পরিবর্তে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অব্যাহত নিপীড়নের কারণে এলাকাটি এখন সংঘর্ষের একটি মূল ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি সরকার প্রায়শই মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দিয়ে থাকে। এ বিষয়গুলোই বিশ্বের সবার নজরে আনতে চায় এফওএ।