আফগানিস্তানে বিনিয়োগের আহ্বান তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

আফগানিস্তানে বিনিয়োগের জন্য কাতারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। যুক্তরাষ্ট্রে আটকে থাকা ৭০০ কোটি ডলারের রিজার্ভ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত জানানোর পর মুত্তাকি এই আহ্বান জানালেন।

তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি

কাতার সফরে গিয়ে আমির খান মুত্তাকি গত বৃহস্পতিবার দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তার দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি এ সময় আফগানিস্তানে উৎপাদিত তাজা ও শুকনো ফল বিদেশে রপ্তানিতে কাতারের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে যেসব ফল উৎপাদিত হয়, সেগুলো বিশ্বমানের। কিন্তু সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের সুবিধা না থাকায় তার বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যায়। এতে দেশের রাজস্ব আদায় অনেকটাই বিঘ্নিত হয়।

কাতার সফরে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দোহায় নিযুক্ত ১৬টি ইউরোপীয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথেও বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলায় নিহতদের জন্য আফগানিস্তানের জব্দ করা অর্থ ব্যবহার করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আফগানিস্তানের একটি আনারের বাগান

অন্যান্য দেশের মতো আফগানিস্তানের রিজার্ভও নিউইয়র্কের ব্যাংকে জমা ছিল। কিন্তু আফগানিস্তানে পছন্দনীয় সরকার না বসায় মার্কিন প্রশাসন দেশটির রিজার্ভ আটকে দেয়। সম্প্রতি নাইন-ইলেভেনে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি ওঠে। সেই প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসন আফগানিস্তানের আটকে থাকা অর্থেই ওই ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আটকে থাকা ৭০০ কোটি ডলারের অর্ধেক ওই ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়।

তালেবান সরকার মার্কিন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে জানায়, এ অর্থের মালিক জনগণ এবং তাদের কাছে পুরো অর্থই প্রদান করতে হবে। তালেবান সরকার বাইডেনের ওই সিদ্ধান্তকে ‘চুরি’ ও ‘নৈতিক অবক্ষয়’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তকে ডাকাতি বলে অভিহিত করেছে।