টিকাপ্রত্যাশীদের লাঠিপেটা, আহত ৩

আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধের ঘোষণা আসার পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বেড়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে টিকাপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে, কোথাও কোথাও তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন কেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিকাপ্রত্যাশীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ, তাতে ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন।

টিকাকেন্দ্রে ভিড়

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় টিকাদান কর্মসূচি চলছে। টিকা নিতে নিবন্ধন ও আইডি কার্ড না লাগায় এখন হাজারো মানুষ ভিড় করছেন কেন্দ্রে। একসঙ্গে এত মানুষকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

আজ বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে পুলিশ। এতে অনেক কর্মী আহত হয়েছে, ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। এক পুলিশ সদস্যও আহত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। সুন্দরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখায় পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই, বলেন সায়েমুল হুদা।

টিকাকেন্দ্রে ভিড়

টিকাপ্রত্যাশী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ সকাল থেকে টিকা নিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ কেন্দ্রটিতে জড়ো হন। এই সংখ্যাটা ১০ হাজারের মতো হবে, যাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। তাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনেকে টিকা না নিয়েই ফিরে গেছেন।

অনেকে অভিযোগ করেছেন, টিকার নিবন্ধন করার পর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এসএমএস আসেনি এখনো। ফলে টিকাও নিতে পারেননি তারা, এখন ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ডোজ বন্ধের ঘোষণায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা। নিবন্ধন ও আইডি কার্ড ছাড়া টিকা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর টিকার প্রথম ডোজ আপাতত বন্ধ থাকবে। ওই সময় থেকে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে স্বাস্থ্য বিভাগ।