ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

অবশেষে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের অবকাঠামো এবং সীমান্তরক্ষীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রয়টার্সের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামরিক আইন জারি করার জন্য তার জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিগগিরই কাউন্সিল একটি জরুরি বৈঠক করবে।

বাড়ল তেলের দাম: রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ ঘোষণা করায় সাত বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ১০০ ডলারের ওপরে উঠে গেছে। এশিয়ান স্টক মার্কেট ২ থেকে ৩ শতাংশ কম লেনদেন করেছে।

উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে বাজারগুলো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে যখন পুতিন একটি শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে দুটি বিদ্রোহী-অধিকৃত পূর্বাঞ্চলে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তখন তেলের দাম ৯৮ ডলারের পৌঁছেছিল।

বিবিসির এশিয়ার ব্যবসায়িক প্রতিবেদক মারিকো বলেছেন, বিনিয়োগকারীরা যেদিকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে বিবেচনা করে সেদিকে পালিয়ে যাচ্ছেন। সোনার দাম এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মার্কিন ডলার এবং জাপানি ইয়েনও শক্তিশালী হচ্ছে।

সবশেষ পরিস্থিতি: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে একটি ‘সামরিক অভিযান’ ঘোষণা করেছেন। তিনি পূর্ব ইউক্রেনের ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অস্ত্র ফেলে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, কেউ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়ার চেষ্টা করে তবে ‘তাৎক্ষণিক’ প্রতিক্রিয়া দেখাবে মস্কো। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরুর অভিযোগ তুলেছেন। যুদ্ধ বন্ধ করতে জাতিসংঘকে ‘সম্ভব সবকিছু করার’ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অঙ্গীকার করেছেন, বিশ্বের কাছে রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে হবে। যুদ্ধে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটবে। বাইডেন আজ বৃহস্পতিবার আমেরিকানদের নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, এই ভয়ানক সময়ে ন্যাটো ব্লক ইউক্রেনের সাথে দাঁড়িয়েছে এবং সমস্ত মিত্রদের রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তা করবে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে বলেছিলেন, একটি আক্রমণ ইউরোপীয় মহাদেশে বড় যুদ্ধের সূচনা করতে পারে।

গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হামলা হলে আমরা আত্মরক্ষা করব। ইউক্রেন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।