ইউক্রেন: ২৮০০ রুশ সেনা নিহত, ধ্বংস ৮০ ট্যাংক ও ১০ বিমান

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রতিরোধের মুখে অন্তত ২ হাজার ৮০০ রুশ সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন। একই সময়ে তারা রাশিয়ার ১০টি বিমান ও ৮০টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তারা এ দাবি জানায়। খবর আনাদোলু।

বিধ্বস্ত একটি বিমান

খবরে জানা গেছে, রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী। তাদের অবস্থান এখন পার্লামেন্ট ভবনের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে। বিমানবন্দর এরই মধ্যে তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তবু বিনা লড়াইয়ে জমি ছাড়তে রাজি নয় ইউক্রেন। রুশ বাহিনীকে পাল্টা আঘাত করছে কিয়েভ বাহিনী।

শুরুতে লড়াইয়ে ন্যাটোসদস্য দেশগুলোকে পাশে পাওয়ার আশা ছিল ইউক্রেনের। তবে রাশিয়ার হামলা শুরু হতেই সেই মোহ ভেঙেছে। ইউক্রেনকে জানানো হয়েছে, ন্যাটোর সদস্য না হওয়ায় তাকে সাহায্য করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপর থেকে একাই লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটি ও সামরিক সরঞ্জামের দখল নিয়েছে তারা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক সেনা ক্যাম্প। তবে পাল্টা আঘাত করছে ইউক্রেনও।

অপারেশনে যাচ্ছে একটি ট্যাংক

শুক্রবার রাতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করে, ইউক্রেনের প্রতিরোধের মুখে রাশিয়ার ৫১৬টি সাঁজোয়া যান, সাতটি হেলিকপ্টার, ১০টি বিমান, প্রায় ৮০টি ট্যাংক এবং ২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়েছে। অবশ্য তাদের এ দাবি কোনো পক্ষ থেকে সত্যায়িত করা সম্ভব হয়নি। ইউক্রেন পক্ষের দাবি, এর আগে কোনও সংঘাতে এত ক্ষতি হয়নি রাশিয়ার।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার সামরিক হস্তক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি দাবি করেন, প্রতিবেশী দেশ দখল করার কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই।

এদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করার অভিযোগ এনে বলেছেন, ইউক্রেনের জনগণই রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের দেশকে রক্ষা করবে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।