কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতায় নেতানিয়াহু!

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) সাবেক মুখপাত্র রনেন মানেলিস গতকাল শনিবার পরামর্শ দিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে পারেন। নেতানিয়াহু রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তার সুসম্পর্কের জন্য পরিচিত। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথেও তার চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে কিয়েভে গিয়েছিলেন। ইসরায়েল ন্যাশনাল নিউজ।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

এক টুইট বার্তায় মানেলিস বলছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন কীভাবে নেতানিয়াহুর কথা শোনেন তা আমি খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি। যদি ইসরায়েলের এই ঘটনাকে কেউ প্রভাবিত করতে পারেন, তিনি হলেন নেতানিয়াহু। এটি ইসরায়েলি সরকারের জন্যও সম্মানের কাজ হবে।

মানেলিসের পরামর্শ গত শুক্রবারের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এর পরেই ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য রাশিয়ার সাথে আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে ইসরাইলকে আহ্বান জানায়। ইসরায়েলি ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা কান ১১ নিউজকে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সাথে কথা বলেছেন। দুজনের মধ্যে কথোপকথনের সময় ইসরায়েলকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

জেলেনস্কি ও পুতিন

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউরেশিয়া এবং পশ্চিম বলকান বিভাগের উপমহাপরিচালক গ্যারি কোরেন ওই কথোপকথনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি ভালো কথোপকথন ছিল। আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমরা অতীতেও ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে বার্তা পাঠিয়েছি।

গত মাসে একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, বেনেট গত অক্টোবরে তাদের বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে জেরুজালেমে রাশিয়া-ইউক্রেন শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তাব করেছিলেন। গত বসন্তে যখন রাশিয়া সীমান্তে সৈন্য পাঠাচ্ছিল, তখন ইউক্রেনের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহুর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল একটি শীর্ষ বৈঠকের জন্য। কিন্তু তখন এটি গুরুত্ব পায়নি।