জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে পারেন পুতিন, দুশ্চিন্তায় ইউরোপ!

ইউক্রেনে সংঘাতের কারণে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে, এমন উদ্বেগের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জ্বালানি মন্ত্রীরা আজ সোমবার ব্রাসেলসে একটি জরুরি বৈঠকে বসছেন। ইইউ গ্যাসের ৪০ শতাংশ এবং তেলের এক চতুর্থাংশের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর তাই তারা এখন উদ্বিগ্ন। ভয় কাজ করছে, পুতিন সরবরাহ ব্লক করতে পারে। বিবিসি।

ভ্লাদিমির পুতিন

পুতিন কি পারমাণবিক বোতাম চাপবেন: নোভায়া গেজেটা সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী দিমিত্রি মুরাটভ বলেছেন, পুতিনের কথাগুলো পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকির মতো শোনাচ্ছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধাচারণ করলে সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়া হবে, এটা স্পষ্ট হুমকি। পুতিন এটা করবেন না, ওটা করবেন না, শেষে দেখা যায় পুতিন সেটাই করছেন। এবার পারমাণবিক বোমার ক্ষেত্রেও সবাই বলছে, পুতিন বোতাম চাপবেন না। ভয়টা সেখানেই!

মুরাটভ বলছেন, পুতিন যদি পারমাণবিক বিকল্প বেছে নেন, তবে তার ঘনিষ্ঠ বৃত্তের কেউ কি তাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করবে? তাকে থামাবে? রাশিয়ার রাজনৈতিক অভিজাতরা কখনই জনগণের সাথে থাকে না। তারা সবসময় শাসকের পক্ষ নেয়। পুতিনের রাশিয়ায় শাসকরাই সর্বশক্তিমান।

যা মনে করা হয়, পুতিন ঠিক তার উল্টো। বলা হয়েছিল, পুতিন কখনই ক্রিমিয়া দখলে নেবেন না, তিনি তা করেছেন। ভাবা হয়েছিল, তিনি ডনবাসে যুদ্ধ করবেন না, পুতিন তা করেছেন। বলা হয়েছিল, ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ করবেন না। পুতিন তাও করেছেন।

পুতিন ন্যাটো নেতাদের আক্রমণাত্মক বিবৃতির প্রেক্ষিতে তার দেশের পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। যখন তিনি টিভিতে তার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ঘোষণা করেছিলেন, তখন তিনি একটি শীতল সতর্কতা দেন, ‘যদি কেউ বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করার কথা বিবেচনা করে, তাহলে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবে।

সর্বশেষ পরিস্থিতি: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে একটি ফোন কলে কথা হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল রোববার ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য একটা কঠিন সময় ছিল। সাধারণ কর্মীরা বলছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা প্রায় সব দিক দিয়ে গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।

কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে রুশ রুবল ডলারের বিপরীতে আরও নিচে নেমে এসেছে। আজ সোমবার জাতিসংঘে একটি জরুরি বিশেষ অধিবেশন বসবে, যাতে অংশ নেবে ১৯৩ সদস্য দেশ।

ইইউ রাশিয়ান বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিচ্ছে এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনীয় শরণার্থীদেরও আশ্রয় দেবে ও স্বাভাবিক আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার বাইরে শরণার্থীরা যে কোনো দেশে ঢুকতে পারবে। ইউক্রেন দাবি করেছে, পুরো আক্রমণে ৪ হাজার ৫০০ রাশিয়ান মারা গেছে। তবে এই তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।