রহস্যময় ‘ভূত পাইলট’ ধ্বংস করলেন ৬ রুশ যুদ্ধবিমান!

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে পঞ্চম দিনের মতো। এ যুগের যুদ্ধে যেমনটি হওয়ার কথা, তেমনই হচ্ছে। যুদ্ধ যতটা রণক্ষেত্রে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার চেয়ে কম হচ্ছে না কোনোভাবেই। সাইবার অ্যাটাক বাদ দিলেও বিভিন্ন ছবি-নিউজ নাড়িয়ে দিচ্ছে বৈশ্বিক কূটনীতি-অর্থনীতিকে। পাল্টে দিচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতিও। গতকাল রোববার থেকে ঘোস্ট পাইলট বা ভূত পাইলটের এমনই কিছু নিউজ ও ছবি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এতে ইউক্রেন বাহিনী নতুনভাবে উজ্জীবিত হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ঘোস্ট পাইলট অব ইউক্রেন

গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিয়েভ ঘোস্ট নামে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দাবি করা হচ্ছে, ইউক্রেনের এক পাইলটই ৬টি রুশ বিমান গুলি করে মাটিতে নামিয়ে এনেছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে কেউ খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষও বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে পারেনি। তারা এটিকে পুরোপুরি অস্বীকারও করেনি।

ঘোস্ট পাইলট অব কিয়েভ

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বিষয়টি সত্যও হতে পারে। কারণ ইউক্রেনে প্রচুর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট রয়েছেন। তারা যুদ্ধের সময় বিমানবাহিনীতে ফিরে আসছেন। তাদের মধ্য থেকে কেউ এই ঘোস্ট পাইলট হতে পারেন।

ইউক্রেনের সাবেক রাষ্ট্রপতি পেট্রো পোরোশেঙ্কো মুখোশ পরা একজন পাইলটের ছবি টুইট করে বলেছেন, ছবিটিতে আমাদের একজন মিগ-২৯ পাইলট রয়েছে, যিনি ‘দ্য ঘোস্ট অব কিভ’ নামে পরিচিত। তিনি শত্রুদের আতঙ্কিত করেন এবং ইউক্রেনের জনগণকে গর্বিত করেন। রাশিয়ান পাইলটদের বিরুদ্ধে তিনি ৬টি জয় পেয়েছেন! এ ধরনের শক্তিশালী ডিফেন্ডারদের সাথে ইউক্রেন অবশ্যই জিতবে!

আবার ইউক্রেন সরকার তার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ক ৩০ সেকেন্ডের একটি নাটকীয় ভিডিও পোস্ট করেছে মন্তব্য করেছে, রুশ বিমানবাহিনীর জন্য দুঃস্বপ্ন।

ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের জনগণের মনোবল চাঙ্গা করার জন্যই এই ঘোস্ট পাইলটের কাহিনী ছড়ানো হয়েছে। তবে যদি বিষয়টি সত্যি হয়, তাহলে এই পাইলটই হবেন শতাব্দীর প্রথম ‘আচে পাইলট’। যে কোনো সামরিক পাইলট যদি একদিনে পাঁচ বা তার বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেন, তাহলে তাকে আচে পাইলট বলা হয়।

এর আগে আচে পাইলটের সম্মান লাভ করেন মার্কিন পাইলট অস্কার পেরডোমো, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিনে ৫টি জাপানি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিলেন। আবার ১৯৬৫ সালে পাইলট মুহাম্মদ মাহমুদ আলম দাবি করেছিলেন, তিনি একদিনে ৫টি বিমান গুলি করে (এর মধ্যে এক মিনিটে চারটি, যা বিশ্ব রেকর্ড) ভূপাতিত করেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রথম দিনে ৭টি রুশ বিমানকে গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করে কিয়েভ। ২৭ ফেব্রুয়ারি নাগাদ এই সংখ্যা ১০ পেরিয়ে যায়।