সোভিয়েত যুগের জেট পাচ্ছে ইউক্রেন

মার্কিন কর্মকর্তারা পোল্যান্ডের সাথে একটি চুক্তি করতে চায়, যার মাধ্যমে পোল্যান্ড আমেরিকান এফ-১৬ জেট ফাইটারের বিনিময়ে ইউক্রেনকে সোভিয়েত যুগের বিমান সরবরাহ করবে। কারণ ইউক্রেনের পাইলটরা রুশ প্রযুক্তির বিমান চালনায় দক্ষ। মার্কিন মিডিয়ায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবিসি।

ফাইটার জেট, ফাইল ছবি

খবরে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার অগ্রগতিতে ইউক্রেনকে সহায়তা করার সবশেষ পদক্ষেপ এটি। এর ঠিক আগে ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং তিনশর বেশি মার্কিন আইন প্রণেতার মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ইউক্রেনের নেতা বলেছিলেন, তার দেশের আরও বিমানের প্রয়োজন।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে পোল্যান্ডের সাথে কাজ করছি এবং আমাদের ন্যাটো মিত্রদের সাথে পরামর্শ করছি। ইউক্রেনে বিমান স্থানান্তর করলে পোল্যান্ডকে সহায়তা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী সরবরাহ করতে পারে, তার ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে।

ইউক্রেনীয় পাইলটদের রাশিয়ান তৈরি বিমানের প্রয়োজন বলে জানা গেছে। কারণ তাদের সেই সিস্টেমে বিমান চালনায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলেনস্কির সাথে কথা বলেছেন। আলাপে তিনি উল্লেখ করেছেন, ইউক্রেনের সুরক্ষা, মানবিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তায় অতিরিক্ত তহবিল সুরক্ষিত করতে কংগ্রেসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।

ইউক্রেনের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিতে চাপে ভারত: ইউক্রেনের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার জন্য তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে ভারত। দেশটি মস্কোর বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। ব্যাখ্যায় দিল্লি আঞ্চলিক অখণ্ডতার গুরুত্বের কথা বলেছে কিন্তু রাশিয়ার সমালোচনা করা বন্ধ করে দিয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্ব এবং রাশিয়া- উভয়ের সাথে প্রতিরক্ষা এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করা দিল্লির জন্য কঠিন কাজ। মস্কো ভারতের প্রতিরক্ষা আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে। কিন্তু একই সময়ে গত দুই দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইউক্রেনের বিষয়ে তার অবস্থান নিয়ে ওয়াশিংটন এবং মস্কো থেকে আসা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিবৃতি থেকে ভারতের চ্যালেঞ্জ বোঝা যায়। গতকাল শনিবার ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ ভারতের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

একই সময়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু বলেছেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের বিষয়ে ভারতের স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছে। সংঘাত চলতে থাকলে ভারতের এই টালমাটাল নীতির অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।