ইউক্রেনে যুদ্ধ, আইএমএফের মারাত্মক হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ‘গুরুতর প্রভাব’ সম্পর্কে সতর্ক করেছে। গতকাল শনিবার সংস্থাটি এ সতর্কতা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলছে, ইতোমধ্যে গুরুতর অর্থনৈতিক পরিণতি দেখা দিয়েছে। যদি সংঘর্ষ বাড়তে থাকে, তাহলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে আরও বিধ্বংসী। বিবিসি।

আইএমএফের সদর দপ্তর

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান মুদ্রাস্ফীতি সংকটে জ্বালানি ও পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখন যে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে তার পরিণতিতেও অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্কযুক্ত দেশগুলোতে এই সংকট কঠোরভাবে আঘাত হানবে।

আইএমএফ বলেছে, শরণার্থী বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট চাপে সরবরাহে ঘাটতি সৃষ্টি করবে। দেশগুলোতে অর্থনীতি ব্যাহত হওয়ার বিশেষ ঝুঁকি রয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন

খবরে বলা হয়, যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনার জন্য গত শুক্রবার আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ইউক্রেনে ১.৪ বিলিয়ন ডলার জরুরি অর্থায়নের জন্য একটি অনুরোধ মূল্যায়ন করতে বোর্ড আগামী সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসবে।

ইউক্রেনের অর্থনীতি: ইউক্রেন একটি উদীয়মান মুক্তবাজার অর্থনীতির দেশ। দেশটির অর্থনীতি ২০০০ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং ২০০৮-২০০৯ সালে ইউক্রেন আর্থিক সংকটে পতিত হয়। ২০১০ সালে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হওয়ার পর ২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্যাপক উন্নতি অব্যাহত থাকে।

২০১৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ইউক্রেনের অর্থনীতি মারাত্মক মন্দার সম্মুখীন হয়। ২০১৫ সালে জিডিপি ২০১৩ এর মূল্যের অর্ধেকের সামান্য বেশি ছিল। ২০১৬ সালে অর্থনীতি আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ২০১৮ সাল নাগাদ ইউক্রেনীয় অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

২০০০ সালে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের জিডিপি রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং তা অব্যাহত ছিল। ইউক্রেনে রয়েছে সমৃদ্ধ কৃষিভূমি, উন্নত শিল্প ভিত্তি, উচ্চ প্রশিক্ষিত শ্রম এবং একটি ভালো শিক্ষাব্যবস্থা।