ব্রিটেন-আমেরিকার গোপন পরিকল্পনা, লিথুয়ানিয়ায় ২২০ কমান্ডো!

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অন্য কোনো দেশে সরিয়ে নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমানে লিথুয়ানিয়ার একটি নির্জন ঘাঁটিতে মার্কিন নেভি সিল ও ব্রিটিশ এলিট ফোর্সের বিশাল একটি কমান্ডো দল প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে জেলেনস্কিকে সরিয়ে নিতে অভিযান চালাবে তারা। ইউক্রেন যুদ্ধের ‘ইলেভেন্থ আওয়ারে’ জেলেনস্কিকে উদ্ধারে প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমারা। বিপরীতে ধীরে হলেও রাজধানী কিয়েভ দখলে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

কিয়েভের পতন হলে কি করা হবে তা আগেভাগেই সব পরিকল্পনা করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। সেক্ষেত্রে প্রবাসে একটি সরকার গঠন করা হবে। আর নতুন এই সরকার যাতে প্রবাসে থেকেই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে, তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেবে পশ্চিমারা। ডেইলি মেইল, দ্য সান, লা ভোস দি ভেনেজিয়া, মিরর, ল্যাটিন টাইমস।

ইতালির বহুল প্রচলিত দৈনিক লা ভোস দি ভেনেজিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে জেলেনস্কিকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। আর এটা নিশ্চিতভাবেই একটা অতি ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান হবে। সেজন্যই বড় একটি কমান্ডো বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এই দলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে দুর্ধর্ষ নেভি সিলের ১৫০ সদস্যের সঙ্গে থাকছে ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সের আরও ৭০ সদস্য। এই দুই বাহিনীর বিশেষত্ব হচ্ছে- এরা সার্জিক্যাল তথা নিখুঁত ও কার্যকর অভিযানে খুবই দক্ষ ও পারদর্শী। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে এমনই এক অভিযান চালিয়েছিল মার্কিন নেভি সিল।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশ লিথুয়ানিয়ার একটি প্রত্যন্ত সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থান করছে ২২০ সদস্যের কমান্ডো দলটি। অতি ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে সফল হতে তাদের সব প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে ইউক্রেনের সেনারাও থাকছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে এখনও টিকে আছেন জেলেনস্কি। এই মুহূর্তে গোপন এক বাঙ্কার থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করছেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এখানে সবচেয়ে বিচক্ষণ বিকল্প হচ্ছে- কিয়েভের বাইরে জেলেনস্কিকে এমন কোনো জায়গায় নিয়ে রাখা, যেখানে তিনি নিরাপদে থাকতে পারবেন। অবশ্য জেলেনস্কি সেই যুদ্ধের শুরু থেকেই বলছেন, তিনি পালিয়ে যাননি আর যাবেনও না।

কিয়েভে থেকেই শেষ পর্যন্ত লড়াই করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত তাকে ইউক্রেন ছাড়তে হতে পারে। সেক্ষেত্রে জেলেনস্কিকে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে সরিয়ে নেওয়া এবং একটি প্রবাসী সরকার গঠনের চিন্তা-ভাবনা চলছে।