কাদের: তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন ডেড ইস্যু

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ডেড ইস্যু মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটি যে একটি অতীত ও বন্ধ অধ্যায় এবং এখন একটি ডেড ইস্যু, সেটা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বুঝতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ফাইল ছবি

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আজ মঙ্গলবার, ৮ মার্চ এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে জল বহু দূর গড়িয়েছে। বিএনপি যদি এখনো সেই একই জায়গায় হাবুডুবু খেতে চায়, তাহলে তাদের গভীর জলে ডুবে মরতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন বহুদূর এগিয়ে গেছে গণতন্ত্রের নৌকা, তাতে উঠতে হলে অনেক পথ সাঁতরে পাড়ি দিতে হবে। তবে এখনো সময় আছে, বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন সংবিধান ও আইনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঠিক ধারায় পথ চলা শুরু করেন।

তিনি বলেন, সংবিধান যে দেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষা কবচ, সেটা আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ দেশের সকল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সংবিধান অনুযায়ীই। তাছাড়া সংবিধানসম্মতভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। একই সঙ্গে যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি আবারো ২০১৩ থেকে ১৫ ও ২০১৮ সালের মতো এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং আবারো অগ্নি সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতে চায়, তাহলে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের। তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে, অথচ তারাই এ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বিএনপি বার বার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে, যাতে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা যায়।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছেন। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপি নেতাদের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা।