তুরস্ক: স্বীকৃতির জন্য আফগানিস্তানকে পদক্ষেপ নিতে হবে

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, স্বীকৃতি পেতে হলে আফগানিস্তানকে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রধানত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের দিকে যেতে হবে, যাতে স্বীকৃতি পাওয়া যায়। আন্তালিয়া কূটনীতি ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু

তিন দিনব্যাপী আন্তালিয়া কূটনীতি ফোরাম রোববার শেষ হয়েছে। ফোরামটি ১১ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এবং সম্মেলনের থিম ছিল ‘কূটনীতি পুনরুদ্ধার করা’। আলোচনায় ইউক্রেন সংকট গুরুত্ব পেয়েছে। তবে আফগানিস্তানও একটি প্যানেলে আলাদা করে আলোচিত হয়েছে।

কাভুসোগলু বলেন, আফগানিস্তানের স্বীকৃতিও ফোরামের একটি আলোচনার বিষয় ছিল। আমরা আফগান জনগণের স্বীকৃতির গুরুত্বের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছি। স্বীকৃতি ছাড়া অনেক সমস্যার সমাধান হবে না। বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা এবং সহায়তার উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু স্বীকৃতি ছাড়া তারা বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নেতৃত্বে আফগান প্রতিনিধি দল

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান ইতিবাচক বার্তা এবং ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। কাবুলের বর্তমান সরকারি কর্তৃপক্ষকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বাস্তবিক পদক্ষেপ নিতে হবে। কাভুসোগলু বলেছেন, তার দেশ আফগাসিস্তানের সাথে জড়িত রয়েছে। তবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো নেই।

আফগানিস্তান থেকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আন্তালিয়া ফোরামে যোগ দেয়। মুত্তাকি আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং তিনি অনেক দেশের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

গতকাল রোববার মুত্তাকি উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আজিজ কামিলভের সাথে দেখা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে জানিয়েছে, আঞ্চলিক দেশগুলোকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার পরিবেশে দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশে একে অপরের প্রতি আস্থা বাড়াতে জোর দিয়েছেন মুত্তাকি। মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ মনে করেন, ফোরামটি একটি ভাল সুযোগ এবং এর প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি আফগানিস্তানকে স্বীকৃতির দিকে একটি পদক্ষেপ।