কিয়েভে গোলাবর্ষণ অব্যাহত, শক্ত প্রতিরোধ

রাশিয়ান বাহিনী আজ বুধবার সকালে রাজধানী কিয়েভের ভবনগুলোতে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। শেভচেঙ্কো জেলায় একটি ১২ তলা আবাসিক ভবনে আঘাতের পর দুজন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, দখলদার রুশ বাহনীর ওপর তারা মারাত্মক আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। বিবিসি।

কিয়েভ, ফাইল ছবি

সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, তারা তিনটি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান, একটি হেলিকপ্টার, তিনটি মানববিহীন আকাশযান ধ্বংস ও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। বিবিসি এখনও স্বাধীনভাবে এই দাবিগুলো যাচাই করতে পারেনি। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, রাশিয়া এই সপ্তাহে ইউক্রেনীয় শহরগুলোর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে। তবে রুশ সেনারা মাইকোলাইভসহ বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে অগ্রসর হতে ব্যর্থ হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে একটি পোস্টে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, রাশিয়া তার দখলকৃত এলাকা ধরে রাখার জন্য লড়াই করছে এবং সামরিক ক্যাডেটদের সামনের সারিতে ডাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেনাদের ক্ষয়ক্ষতি পূরণের জন্য রাশিয়াও বিদেশি যোদ্ধা খুঁজছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের টেকসই প্রতিরোধের মুখে আক্রমণাত্মক অভিযান পরিচালনা করতে লড়াই করছে। সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ বুধবার সকালে রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একইসঙ্গে চলছে গোলাবর্ষণ।

শহরের জরুরি পরিষেবাগুলো এখন বলছে, রাশিয়ান গোলাগুলির আঘাতে শেভচেঙ্কো জেলা ও আশপাশের শহরের নয় তলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৫ জনকে বিল্ডিং থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সকাল ৭.৪৫ মিনিটে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয় এবং উদ্ধারকারীরা এখন জীবিতদের খোঁজ করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিওগুলোতে ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। দুই দিনের কারফিউর মধ্যে শহরজুড়ে বাসিন্দারা বাঙ্কার, ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্র এবং তাদের বাড়িতে অবস্থান করছে। কর্মকর্তারা সতর্ক করেছে, বর্তমান সময় রাজধানী কিয়েভের জন্য একটি কঠিন এবং বিপজ্জনক মুহূর্ত।