একটি মনোবাসনা পূরণ হয়নি মুহিতের, তবে ক্ষেভ বা দুঃখ নেই

এক সময়ের দাপুটে সরকারি কর্মকর্তা থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ৮৮ বছর বয়সে পৌঁছায় বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন তিনি। জীবন সায়াহ্নে এসে নিজের পূরণ না হওয়া একটি ইচ্ছার কথা বলেছেন মুহিত।

আবুল মাল আবদুল মুহিত, ফাইল ছবি

গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের ধোপাদীঘিরপাড় হাফিজ কমপ্লেক্সের বাড়িতে বসে জড়তাভরা কণ্ঠে একটি জাতীয় দৈনিককে সাক্ষাৎকার দেন মুহিত। প্রশ্ন করা হয়, আপনার রাষ্ট্রপতি হওয়ার কথা শোনা গেলেও হননি, এ নিয়ে দুঃখ আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, সেটি আমার মনোবাসনা ছিল, না হওয়ায় ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। সবকিছু একটা নিয়মে হয়ে থাকে।

নিজের ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে ‘আল্লাহ অনেকটা ভালো রেখেছেন’ মন্তব্য করে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ৮৮ বছরের লম্বা সময় ধরে বেঁচে আছি, এটা বড় প্রাপ্তি। রোগ-শোক তো মানুষের থাকবেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মধুর সম্পর্কের কারণে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে অনেকটা ‘সাকসেসফুল’ হয়েছি।

সংসদে আবুল মাল আবদুল মুহিত, ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এখন খোঁজখবর নেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার সঙ্গে মধুর সম্পর্ক না থাকলে এত কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব ছিল না। তার সঙ্গে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, সব সময় আমার শারীরিক খোঁজখবর নেন তিনি।

দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে নেওয়া নানা পদক্ষেপ ও ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, এখনকার অথনীতি আর তখনকার অর্থনীতির মধ্যে অনেকটা ফারাক আছে। আমার রেখে যাওয়া গতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখা গেলে খুব একটা বেগ পোহাতে হবে না। তবে বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ এলে সে কথা ভিন্ন।

সিলেটের রাজনীতিতে দলটির এক সময়ের প্রভাবশালী এই নেতা ২০১৮ সাল থেকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি অবসরে রয়েছেন। গত বছরের ২৪ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বনানীর বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন, হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে তাকে। কয়েকদিন আগেও শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।