বিধ্বস্ত মারিওপল: পালাতেও পারছে না ৪ লাখ মানুষ

ইউক্রেন যুদ্ধ ২৪তম দিনে গড়িয়েছে। রাশিয়ার হামলায় ধীর গতি হলেও সংলাপ বা সমঝোতা হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। যদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অর্থপূর্ণ শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তাতে পুতিনের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। গতকাল শুক্রবার মারিওপলে নিরাপদ করিডোর দিয়ে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া অব্যাহত রয়েছে। শহরটিতে চার লাখ লোক আটকে পড়েছে। বিবিসি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিওপলে আটকা ৪ লাখ মানুষ

অবরুদ্ধ মারিওপল পতনের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। শহরটির বাসিন্দারা রাশিয়ান বাহিনীর হামলায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। শহরটি ইউক্রেনের দক্ষিণের বন্দর নগরী। এর মেয়র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন যুদ্ধ শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছেছে।

প্রায় ৪ লাখ লোক মারিওপলে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আটকা পড়েছে, যদিও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল শুক্রবার প্রায় ৫ হাজার জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। শহরটি ঘিরে রয়েছে রুশ বাহিনী। একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে বিদ্যুৎ, তাপ এবং জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিওপলে আটকা ৪ লাখ মানুষ

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা শুক্রবার গভীর রাতে বলেন, মারিওপলের বাসিন্দারা আজভ সাগরে প্রবেশাধিকার হারিয়েছে। উদ্ধারকারীরা এখনও শহরের থিয়েটারের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যেটি গত বুধবার বোমা বিস্ফোরিত হয়ে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতে, থিয়েটারের বেজমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ১ হাজার ৩০০ লোক। মারিওপল শহরের আবাসিক ভবনগুলোর ৮০ ভাগের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

শহরটি মূলত ঐতিহ্যগতভাবে রুশভাষী এবং জাতিগতভাবে বেশি জনসংখ্যা ইউক্রেনীয়। এখানে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ানদের মধ্যে প্রায় সমান আধিপত্য। এছাড়াও শহরে একটি উল্লেখযোগ্য জাতিগত গ্রিক সংখ্যালঘু রয়েছে।

২০০২ সালে জাতিগত ইউক্রেনীয়রা ছিল ৪৮.৭ শতাংশ। দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি ছিল রাশিয়ান ৪৪.৪ শতাংশ। ২০১৭ সালের জুন-জুলাইয়ের একটি সমীক্ষা বলছে, মারিওপলের জনসংখ্যায় ইউক্রেনিয়ানদের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ শতাংশ হয়েছে। অপরদিকে রাশিয়ানরা কমে ৩৩ শতাংশে নেমে গেছে। শহরটি ইউক্রেনের পন্টিক গ্রিকদের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার আবাসস্থল। এখানে প্রায় পন্টিক গ্রিক জনসংখ্যার ৫৩ হাজার লোক বাস করে।