হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, জার্মানিতে কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ

জার্মানিতে হিজবুল্লাহ ও ইরানপন্থী একটি কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেন্টারটির নাম আল মুস্তফা কমিউনিটি সেন্টার। খবর জেরুজালেম পোস্ট। উত্তর-পূর্ব জার্মানির শহর ব্রেমেনের অভ্যন্তরীণ সিনেটর উলরিচ মাউর এক বিবৃতিতে বলেছেন, আল মুস্তফা সহিংসতা প্রচারে সক্রিয়। তাই এটি বন্ধ করা খুবই দরকার ছিল। ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মতো আন্তর্জাতিক আইনের বিপরীতে সেন্টারটির কার্যক্রম রয়েছে। ইয়ানি সাফাক।

হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্টতায় জার্মানিতে কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ, ফাইল ছবি

ওই সিনেটরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সমিতির প্রাঙ্গণে ইসরায়েলবিরোধী বই এবং কনটেন্ট পাওয়া গেছে। ইরানের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতার একটি ফ্লাইয়ারসহ একটি বার্তাও মিলেছে। বার্তায় ইসরায়েল রাষ্ট্রের বৈধতা অস্বীকার করা এবং ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করার জন্য সহিংসতায় উৎসাহিত করা হয়েছে।

জেরুজালেম পোস্ট ২০১৮ সালে রিপোর্ট করেছিল, ব্রেমেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল মুস্তফা কমিউনিটি সেন্টার লেবাননে হিজবুল্লাহকে সমর্থন করে এবং অনুদান সংগ্রহ করে।

ইসরায়েল বনাম হিজবুল্লাহ, ফাইল ছবি

জার্মানির ফেডারেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে হিজবুল্লাহর সমস্ত কার্যকলাপকে বেআইনি ঘোষণা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, আরব লীগ, ইসরাইল ও অনেক ইউরোপীয় এবং ল্যাটিন আমেরিকা লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

ব্রেমেন কর্তৃপক্ষের মতে, হিজবুল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত একজন ধর্মীয় নেতা ব্রেমেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আল মুস্তফা সংগঠনের ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে একজন জার্মান বংশোদ্ভূত হিজবুল্লাহ যোদ্ধার গৌরব বর্ণনা করতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে শহীদ হিসাবে উপাধি দেওয়া হয়, যা সংগঠনটির জঙ্গি কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমন প্রমাণ রয়েছে, আল মুস্তফা সম্প্রদায় শিশুদেরকে তার আদর্শের সাথে এবং এইভাবে হিজবুল্লাহর সাথেও অল্প বয়সে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। সমিতির তথাকথিত স্কাউট গ্রুপটিকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ব্রেমেনের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল মুস্তফা কেন্দ্রের অতিরিক্ত কার্যক্রমের মধ্যে ইভেন্ট এবং বিক্ষোভের আয়োজন থাকে। প্রতি বছরের মতো জার্মানিজুড়ে হিজবুল্লাহর সহানুভূতিশীল এবং সমর্থকরা বার্লিনে ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভে প্রকাশ্যে অংশ নেয়। ব্রেমেনের অংশগ্রহণকারীরাও নিয়মিতভাবে আল কুদস দিবসে অংশগ্রহণ করে থাকে।

বলা হচ্ছে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার আহ্বান জানানোর জন্য বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ হিসাবে আল-কুদস দিবসের উদ্বোধন করেছিলেন।