এরদোয়ানের চমক: ছয় মিনিটে এশিয়া থেকে ইউরোপ

দার্দানেলিস প্রণালিতে বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু উদ্বোধন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। এর ফলে এখন তুরস্কের এশিয়া প্রান্ত থেকে ইউরোপে যেতে সময় লাগবে মাত্র ছয় মিনিট। তুরস্কে এশিয়া ও ইউরোপকে সংযোগকারী এটি ষষ্ঠ সেতু। খবর সিএনএন।

চানাক্কালে সেতু

গত শুক্রবার তুরস্কের অন্যতম এই মেগাপ্রকল্প ‘১৯১৫ চানাক্কালে সেতু’টি উদ্বোধন করেন এরদোয়ান। তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত দার্দানিলেস প্রণালিতে চার দশমিক ছয় কিলোমিটারের দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এটিই বর্তমান বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঝুলন্ত সেতু। এর টাওয়ারগুলোর মধ্যকার দূরত্ব ২.০২৩ কিলোমিটার। সেতুটি নির্মাণে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার গ্যালিপোলি অভিযানে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সেনাদের বিরুদ্ধে উসমানীয় নৌবাহিনীর বিজয়ের ১০৭তম বার্ষিকীতে সেতুটি উদ্বোধন করেন এরদোয়ান। উদ্বোধনী বক্তব্যে সে বিজয়ের কথা উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, এ সেতু দার্দানেলিসের শহিদদের স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখবে।

সেতুটি উদ্বোধন করছেন রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিম বু-কিউম সেতুটিকে ‘তুরস্কের অর্থনীতির একটি প্রধান শিরা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সেতুটি ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী একটি আন্তর্জাতিক লজিস্টিক হাব হিসেবে তুরস্কের অবস্থানকে আরো দৃঢ় করবে। তিনি নির্মাণ প্রক্রিয়া চলাকালে তুরস্ক সরকারের অটল সমর্থন, চানাক্কালে প্রদেশের কর্মকর্তাদের ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

তুরস্ককে ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে কিম বলেন, ১৯৫০ সালে কোরিয়ার যুদ্ধের সময় আমাদের দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও হাজার হাজার তুর্কি সৈন্য এশিয়া মহাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করেছে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রকে সাহায্য করার জন্য। তখন আমরা একটি কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলাম। কোরিয়ান জনগণ এ সত্যটি কখনই ভুলে যায়নি।