যুক্তরাষ্ট্রের ‘গোপন কর্মকাণ্ড’ ফাঁস করার হুমকি!

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ দাবি করেছেন, বিশ্বব্যাপী জীবাণু অস্ত্র নিয়ে যেসব গোপন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, তা শিগগিরই ফাঁস করে দেবে মস্কো। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েকশ জীবাণু অস্ত্রের গবেষণাগার তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে সম্ভবত তার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির অবস্থান। খবর আরটি।

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বায়োল্যাব রয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার, ফাইল ছবি

ইউক্রেনে হামলার কয়েকদিনের মধ্যেই রাশিয়া দাবি করেছিল, তারা দেশটিতে জীবাণু অস্ত্র তৈরির কয়েকটি গবেষণাগারের সন্ধান পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রই এসব পরিচালনা করে বলেও দাবি করে তারা। ওয়াশিংটন রাশিয়ার এ দাবির তেমন কোনো প্রতিবাদ করেনি। তবে এসব ল্যাব বা গবেষণাগার থেকে যেন জীবাণু অস্ত্র না ছড়ায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়।

এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ইউরোপ থেকে শুরু করে আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জীবাণু অস্ত্রের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বিষয়টিকে আরো সুস্পষ্ট করে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩০০টি জীবাণু অস্ত্রের গবেষণাগার তৈরি করেছে আমেরিকা। আর ইউক্রেন সম্ভবত পেন্টাগনের জন্য সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

বায়োল্যাব, ফাইল ছবি

রাশাটুডেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের এসব গবেষণাগারের ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করতে এবং এগুলোর নিরাপত্তার ব্যাপারে পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা পেতে হবে। মস্কোর বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেন পরীক্ষাগার থেকে মূল নথি পর্যালোচনা করে দেখছেন। এসব নথিতে ইউক্রেন থেকে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে বিপুল পরিমাণে জৈব অস্ত্র পাচারের উল্লেখ রয়েছে। আমরা শিগগিরই এ বিষয়ক নথিগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করবো।

প্রায় তিন দশক আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ওই ইউনিয়ন থেকে মুক্ত হওয়া পাঁচ দেশ ইউক্রেন, জর্জিয়া, উজবেকিস্তান, আজারবাইজান ও কাজাখস্তানে জীবাণু অস্ত্রের গবেষণাগার তৈরি করে আমেরিকা।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর আগে এসব গবেষণাগারের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, এসব গবেষণাগারে জীবাণু অস্ত্র তৈরি হতে পারে, যা রাশিয়ার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পেছনে এ বিষয়টিকেও অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।