দেশের হয়ে লড়তে চান ৯৮ বছরের বৃদ্ধা!

রাশিয়ার বিরুদ্ধে অসম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। সামনে থেকে এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার পেছনে আছে হাজারো অকুতোভয় সৈনিক। রয়েছে দেশি-বিদেশি অনেক স্বেচ্ছাসেবীও। এবার এই স্বেচ্ছাসেবীর তালিকায় নাম লেখাতে এসে সবার মন জয় করে নিয়েছেন ৯৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। তবে বয়স বিবেচনায় তার এ আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর নিউজএইটিন।

৯৮ বছর বয়সী ওলহা টেরডোখলিবোভা

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া ৯৮ বছর বয়সী এক নারী মাতৃভূমি রক্ষায় আবারো অস্ত্র হাতে তুলে নিতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৯৮ বছর বয়সী ওলহা টেরডোখলিবোভা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জীবনে দ্বিতীয় বার যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছেন। এ বয়সে এসেও তিনি মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে সমস্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, বয়সের কারণে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা নিশ্চিত তিনি কিয়েভে শীঘ্রই আরেকটি বিজয় উদযাপন করবেন!

ইউক্রেনের প্রতিরোধ

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটটি ১৮ মার্চ পোস্ট করা হয়েছিল। হাজার হাজার লাইকের পাশপাপাশি অনেকেই মন্তব্যও করেছেন। কেউ বলেছেন, সৈনিক সবসময়ই একজন সৈনিক! কেউ কেউ অবশ্য তাকে হিংস্র বলেও সমালোচনা করেছেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে আনুমানিক ৬৫ লাখ মানুষ ইউক্রেনের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ৩২ লাখ লোক ইউক্রেনীয় নিরাপত্তার কারণে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আশ্রয় দেয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে দেশেই থেকে যান।