তুরস্ককে উল্টো চাপ: এস-৪০০ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই কাজে লাগাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ কেনা থেকে বিরত রাখতে তুরস্কের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেসব উপেক্ষা করে অত্যাধুনিক এই ব্যবস্থা পেতে মস্কোর সঙ্গে চুক্তি করে আঙ্কারা, ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা পদক্ষেপ নেয় ওয়াশিংটন। তুর্কিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্প থেকে বাদ দেয় মার্কিনিরা।

তুরস্কে এস-৪০০, ফাইল ছবি

এ নিয়ে ন্যাটো জোটের মিত্র দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে, দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনাও বিরাজ করছে। রুশ এস-৪০০ ফেরত দিতে এরদোয়ান প্রশাসনের ওপর চাপ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রই এখন বলছে ভিন্ন কথা। ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি চলমান রুশ আগ্রাসন মোকাবেলায় ইউক্রেনে পাঠাতে নতুন করে চাপ দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

গতকাল শনিবার ৩টি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, রাশিয়ার এই অস্ত্র এখন দেশটির বিরুদ্ধে ইউক্রেন সংঘাতে ব্যবহার করার সম্ভাবনা অনানুষ্ঠানিকভাবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি গত মাস থেকে তুর্কি কর্মকর্তাদের কাছে বিভিন্নভাবে জানিয়েছেন কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা।

যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের পতাকা

এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বা সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা না হলেও চলতি মাসের শুরুতে তুরস্ক সফরে যান মার্কিন পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান। সে সময় বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে সামনে আনা হয়, যা নিয়ে তুরস্কের কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি এখনো। রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাতে সাড়া দেননি তুর্কি কর্মকর্তারা।

সূত্রমতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও ইউক্রেনে সংঘাত নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ভয়ের কারণ আছে। বিশেষ এই অভিযান নিয়ে আঙ্কারাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ক্রেমলিন, সেই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।