চীন-ওআইসিকে মধ্যস্থতা করার পরামর্শ ইমরানের

চীন এবং ইসলামিক দেশগুলোকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন দ্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন, ওআইসির ৪৮তম অধিবেশনে মঙ্গলবার একথা বলেন ইমরান। জিও টিভি।

ইমরান খান

নানা দেশের ৬০০-এর বেশি প্রতিনিধি এই ‘কাউন্সিল অব ফরেইন মিনিস্টারস’ অধিবেশনে যোগ দিতে পাকিস্তানে গেছেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই উপস্থিত আছেন বিশেষ অতিথি হিসাবে।

অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই আলোচনায় আমি আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আমাদের চিন্তা করা উচিত কীভাবে আমরা মধ্যস্থতা করতে পারি, কীভাবে আমরা একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে পারি।

ওআইসি

কীভাবে সেটা সম্ভব আমি তা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। হয়তো ওআইসি এবং সঙ্গে চীন- আমরা সবাই চেষ্টা করে দেখতে পারি, যে যুদ্ধ চলছে সেটা কীভাবে থামানো যায়। এটা যেভাবে চলছে যদি সেভাবেই চলতে থাকে, তবে বাকি বিশ্বের জন্য তা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে একই ধরনের কথা বলা হয়। চীনের বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার ওপর ‘যেভাবে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়া’ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

ওআইসির ভূমিকা সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ওআইসিকে গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। কারণ আমরা একটি বিভক্ত ঘর এবং পশ্চিমা শক্তিগুলো তা ভালো করেই জানে। মুসলিমদের সংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন বা দেড়শ কোটি হলেও ফিলিস্তিন-কাশ্মিরে নির্মম অবিচার বন্ধ করার জন্য আমাদের আওয়াজ তুচ্ছ। আমরা এক হতে পারিনি।

ইমরান খান বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ফিলিস্তিন এবং কাশ্মিরের জনগণের পক্ষে ছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলো গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মিরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনই সেই অধিকার নিশ্চিত করেনি।