জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী, পেলেন যারা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বক্তৃতা করেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিসেবে এবার মোট ২৭টি বিভাগে ৩২টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবার যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ সিনেমা হয়েছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ এবং গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন

এর মধ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন চিত্রনায়ক সিয়াম। অপরদিকে, ‘গোর’সিনেমা থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন চিত্রনায়িকা দীপান্বিতা মার্টিন। সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কারও পেয়েছে এই ‘গোর’ সিনেমা। এটি সরকারি অনুদানে নির্মিত। গাজী রাকায়েত একই সিনেমার জন্য ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ৪টি পুরস্কার পেয়েছেন।

এ ছাড়া অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। যদিও সশরীরে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেননি যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাওয়া বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আনোয়ারা। তার পক্ষে তার মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি সম্মাননা গ্রহণ করেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ পেলেন যারা: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক- গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা- এম ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী- অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি), শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা- মো. সাহিদ হাসান মিশা সওদাগর (বীর), শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী- মুগ্ধতা মোরশেদ ঋদ্ধি (গণ্ডি)।

শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- মো. শাহাদৎ হাসান বাধন (আড়ং), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক - বেলাল খান (বিশ্বাস যদি যায়রে...), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক- প্রয়াত মো. সহিদুর রহামান (তুই কি আমার হবিরে...(বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ গায়ক- মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে...(বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ গায়িকা- দিলশাদ নাহার কণা (তুই কি আমার হবিরে...(বিশ্বসুন্দরী) এবং সোমনূর মনির কোনাল (ভালোবাসার মানুষ তুমি... বীর)।

শ্রেষ্ঠ গীতিকার- কবির বকুল (তুই কি আমার হবিরে...(বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ সুরকার- মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে...(বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার- গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার-গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক - মো. শরিফুল ইসলাম (গোর), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক- পংকজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ (গোর), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- কাজী সেলিম আহম্মেদ (গোর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা- এনামতারা বেগম (গোর), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল।