মিশর-আমিরাত-ইসরায়েলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক, টার্গেট ইরান!

ইরানের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক প্রভাব ঠেকাতে বৈঠক করেছেন মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের শীর্ষ নেতারা। গত সোম ও মঙ্গলবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার কথা জানানো হয়।

শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান, আবদেল ফাতাহ আল সিসি, নাফতালি বেনেট

বৈঠকটিতে অংশ নেন মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ও আমিরাতি যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। ইরানবিরোধী জোটকে আরো শক্তিশালী করার ব্যাপারে আালোচনা করেছেন তারা।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ডয়চে ভেলে জানায়, দুই দিনব্যাপী এই বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের প্রভাব ঠেকানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে কায়রো জানিয়েছে, তেল-গ্যাসের বাজারের অস্থিরতা এবং খাদ্যসুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

ইরানের পরমাণু স্থাপনা

ইউক্রেন সংকটে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দামবৃদ্ধির রেকর্ড তৈরি হয়েছে, বেড়েছে গমের দামও। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বেশ কিছু বিষয়ে তিন নেতা মতবিনিময় করেছেন, বলছে আমিরাতি সংবাদ সংস্থা।

এ বিষয়ে বেনেটের অফিস জানায়, সকল পর্যায়ের সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলেছেন তারা। তিনি ইরানের নাম উল্লেখ না করলেও তেহরানের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে যেকোনো দেশের সঙ্গে হাত মেলার কথা বলেন দেশটির ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেল আভিভে।

মিশরের সঙ্গে আগে থেকে ইসরায়েলের সম্পর্ক থাকলেও আমিরাতের সঙ্গে সেটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২০ সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চুক্তি করে কয়েক দশকের বিরোধের অবসান ঘটনায় দেশ দুটি। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির বিরোধী এই তিন দেশ।