চেরনোবিল নিয়ে আইএইএ’র সতর্কতা

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি, আইএইএ বলছে, ইউক্রেন জানিয়েছে, রুশ বাহিনী স্লাভ্যুটিচ শহরের চেকপয়েন্টে গোলাবর্ষণ করছে। এতে চেরনোবিলের কর্মীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। শহরটিতে প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দার বাস। চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনেক শ্রমিক সেখানে বাস করে। বিবিসি।

আইএইএ বলছে, গোলাগুলির কারণে চেরনোবিলে কাজে ব্যাঘাত ঘটছে

১৯৮৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ পারমাণবিক দুর্ঘটনার স্থান চেরনোবিল প্রায় এক মাস ধরে রাশিয়ান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইউক্রেন আইএইএ-কে জানিয়েছে, গোলাগুলির আতঙ্ক চেরনোবিলের বাড়িঘর এবং কর্মীদের পরিবারকে বিপন্ন করে তুলছে। কর্মীদের যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে চলমান হামলা।

আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, যুদ্ধের কারণে শিফট পরিবর্তন ছাড়াই চেরনোবিলে প্রায় চার সপ্তাহ কাজ করতে হয় কর্মীদের। সম্প্রতি কর্মীদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হয় এবং শিফটিংয়ে কাজ শুরু হয়। কিন্তু ফের গোলাগুলির আতঙ্কে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় তিনি উদ্বিগ্ন। আইএইএ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলেও জানান তিনি।

রাশিয়ার একটি জাহাজ ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন

রাশিয়ান লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক আক্রমণ: ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, এমওডি জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশের রুশ-অধিকৃত এলাকায় উচ্চ মূল্যের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। এই লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি অবতরণ জাহাজ এবং বারদিয়ানস্কের দখলকৃত বন্দরে গোলাবারুদ ডিপো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এমওডি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ান রসদকে লক্ষ্যবস্তু করতে থাকবে, তাদের নতুন সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করবে। ইউক্রেনের হামলায় রুশ হামলার ক্ষমতা হ্রাস করবে এবং রাশিয়ান সেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়বে।

মারিওপোলে মানবিক সহায়তায় বাধা: ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রায় ২ হাজার ৭০০ মানুষ অবরুদ্ধ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর মারিওপোল ছেড়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তবে ইরিনা ভেরেশচুক রাশিয়ার বিরুদ্ধে শহরে মানবিক সহায়তার কনভয় অবরুদ্ধ করার অভিযোগ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে, তারা মারিওপোল পৌঁছতে পারেনি।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া মারিওপোল শহরের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে, রাশিয়া মারিওপোল পূর্ণনির্মাণ করবে।