যুদ্ধের প্রথম পর্ব শেষ, এবার টার্গেট পূর্ব ইউক্রেন!

ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধ আপাতত শেষ হয়েছে। দেশটি তার কৌশলে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলকে টার্গেট করে নতুন করে যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে। এ বিষয়ে রুশ সেনাবাহিনীর চিফ জেনারেল স্টাফ সের্গেই রুডস্কয় বলছেন , তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে এবং যুদ্ধের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসি।

এবার টার্গেট পূর্ব ইউক্রেন

খবরে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল বড় শহরগুলো দ্রুত নিজেদের দখলে নিয়ে আসা এবং সরকারকে পতন ঘটনো। কিন্তু ইউক্রেনের প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে তা থমকে গেছে।

সের্গেই রুডস্কয় বলেন, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের বিশাল এলাকা রাশিয়ানদের হাতে রয়েছে।

জানা যাচ্ছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বোমাবর্ষণ করছে এবং রাজধানী কিয়েভের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনীয় শহরগুলো ঘেরাও করার চেষ্টা করছে। জেনারেল রুডস্কয়’র ভাষায়, আমরা মূলত ইউক্রেনের বাহিনীকে বেঁধে রেখেছি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য বলেছেন, তার সৈন্যরা রাশিয়ার উপর ‘শক্তিশালী আঘাত’ করেছে। পাশপাশি শান্তি আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করার জন্য মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জেলেনস্কি দাবি করে বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি রাশিয়ার আগ্রাসনকে থামিয়ে দিচ্ছে। ইউক্রেনের সেনারা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার নেতাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। আমরা মনে করি যুদ্ধ থামানোর যৌক্তিকতার বিষয়টি এখন রাশিয়া বুঝতে পারবে।

ফেসবুকে দেওয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি আরো বলেন, রুশ বাহিনীর ওপর ইউক্রেনের বাহিনী শক্তিশালী আঘাত হেনেছে। আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনী শত্রুদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিচ্ছে। দখলকারীদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।

সেনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেন, আমি কৃতজ্ঞ, তারা দখলদারদের দেখিয়েছে ঝড় না থাকলেও সমুদ্র তাদের জন্য (রুশ বাহিনী) শান্ত হবে না। কারণ আমাদের হামলায় রুশ সেনাদের জন্য সমুদ্রে আগুন থাকবে। ইউক্রেন রাশিয়ান বাহিনীর চলাফেরা সংকীর্ণ করে তুলেছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। পুতিন বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় দেশটির শহর নগর বন্দর আক্রান্ত হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।