ফিলিপাইনে অগ্ন্যুৎপাত: ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ

ফিলিপাইনে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ক্ষতি থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ফেলে পালিয়েছে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বাতাসে ছাই ও বাষ্প ১৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীকে বাড়িঘর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ফিলিপাইনে অগ্ন্যুৎপাত: ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ

ম্যানিলার দক্ষিণে একটি হ্রদে অবস্থিত ‘তাল আগ্নেয়গিরি’ আজ শনিবার সকাল ৭টা ২২ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বলা হয়েছে, আরও অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে এবং তা খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

সিসমোলজিক্যাল এজেন্সি লেকের আশেপাশে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বলেছে। সতর্কতার মাত্রা দুই থেকে তিন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। প্রাথমিক অগ্ন্যুৎপাতের পরে ক্রমাগত ফ্রেটোম্যাগম্যাটিক কার্যক্রম দেখা গিয়েছিল, যা বাতাসে এক হাজার ৫০০ মিটার (৪,৯০০ ফুট) উঁচুতে প্রসারিত হয়।

ফিলিপাইনের পতাকা

গলিত শিলা ভূগর্ভস্থ বা ভূ-পৃষ্ঠের জলের সংস্পর্শে এলে ফ্রেটোম্যাগমেটিক বিস্ফোরণ ঘটে। বিজ্ঞানী প্রিন্সেস কোসালান অগ্ন্যুৎপাতের প্রক্রিয়াটিকে গরম প্যানে জল ঢালার সাথে তুলনা করেছেন।

কোসালান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, প্রাথমিক বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছাই এবং বাষ্প নির্গমন শান্ত হয়ে যায়। ইনস্টিটিউটের অন-সাইট সেন্সরগুলো আগ্নেয়গিরির ভূমিকম্প কিংবা আরও অগ্ন্যুৎপাতের আভাস দিয়েছে।

সস্থাটি সতর্ক করেছে, প্রধান ক্রেটারে ম্যাগম্যাটিক অনুপ্রবেশ রয়েছে যা পরবর্তী অগ্ন্যুৎপাতকে গতিময় করতে পারে।

আঞ্চলিক বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র কেলভিন জন রেয়েস এএফপিকে বলেছেন, আশেপাশের পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ওই এলাকায় প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাতে লোকজন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তাল আগ্নেয়গিরিটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’ অন্তর্ভুক্ত এলাকায় অবস্থিত। এখানে প্রায়ই অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প আঘাত হানে।