সৌদিতে হুথিদের ‘সবচেয়ে বড়’ হামলা, ১৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি আগুন

সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় রাষ্ট্রায়ত্ব তেল কোম্পানি আরামকোর একটি শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনী। একই সময়ে রিয়াদের কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালায় তারা। সৌদি সরকার হামলার নিন্দা জানাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

সৌদি তেল শোধনাগারে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আল আরাবিয়া টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, জেদ্দা বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত নর্থ জেদ্দা বাল্ক প্লান্ট নামের শোধনাগারে শুক্রবার গভীর রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের গুদামসহ বেশকিছু স্থাপনায় আগুন ধরে যায়। শনিবার বিকাল পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ৩০০ দমকল কর্মীর পাশাপাশি সৌদি সেনাদের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। নর্থ জেদ্দা বাল্ক প্লান্টে তেলের বড় ধরণের ১৩টি সংরক্ষণাগার রয়েছে।

জেদ্দা নগরীতে রোববার থেকে ফর্মুলা ওয়ান কার রেস শুরু হবার কথা। তার আগে এ হামলার ঘটনা ঘটল। এ পর্যন্ত সৌদি আরবে এটাই হুথিদের সবচেয়ে বড় হামলা। সৌদি অ্যারাবিয়ান অয়েল কোম্পানি এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেনি। তবে রাষ্ট্রায়ত্ব সৌদি প্রেস এজেন্সি বলেছে, ইয়েমেনের হুথিরা একটি তেলের ডিপোকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে। হামলা সত্ত্বেও জেদ্দায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফর্মুলা ওয়ান কার রেস অনুষ্ঠিত হবে।

হুথি যোদ্ধা, ফাইল ছবি

হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, হুথি যোদ্ধারা আরামকোর জেদ্দাস্থ তেল শোধনাগারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এছাড়া জিযান, নাজরান, রাস তানুরা ও রাবিঘ শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। একই সময়ে সৌদি রাজধানী রিয়াদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতেও অনেকগুলো ড্রোন ছোঁড়া হয়েছে।

ইয়েমেনি যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আল-আরাবিয়া টিভি জানিয়েছে, সৌদি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নাজরানকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

হামলার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে বিবাদমান পক্ষগুলো যখন উত্তেজনা প্রশমন ও ইয়েমেনের জনগণের জীবন বাঁচাতে জরুরি ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ করার কথা, সে সময় হুথিরা বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে তাদের দায়িত্বহীন সন্ত্রাসী হামলা ও ধ্বংসাত্মক আচরণ অব্যাহত রেখেছে।