বিবিসির বিশ্লেষণে পুতিনের লক্ষ্য

চার কোটি ৪০ লাখ মানুষের দেশ ইউক্রেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে ইউরোপের শান্তি ভেঙ্গে দেন। পুতিনের দাবি ছিল, পশ্চিমা প্রভাবিত ইউক্রেন সরকার রাশিয়ার জন্য হুমকি। এ কারণে রাশিয়া নিরাপদ অনুভব করতে পারছে না। বিবিসি।

পুতিন

এক মাসেরও বেশি বোমাবর্ষণের পরে ইউক্রেনের শহরগুলো এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। হাজার হাজার সামরিক-বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরে ও বাইরে ১০ মিলিয়ন লোক বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরেও প্রশ্ন রয়ে গেছে, পুতিনের লক্ষ্য আসলে কী? বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি।

পুতিনের লক্ষ্য: রাশিয়ান নেতার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনকে পরাস্ত করা এবং দেশটির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। পশ্চিমা প্রতিরক্ষামূলক জোট ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছার মূলোৎপাটন করা। কিন্তু বর্তমানে আগ্রাসন আটকে গেছে এবং পুতিন তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে পিছিয়ে দিয়েছেন।

পুতিন

২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণের সূচনা করে পুতিন রাশিয়ান জনগণকে বলেছিলেন, তার লক্ষ্য ‘ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করা এবং ডি-নাজিফাই করা’। পুতিনের দাবি ছিল, ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করা তাদের পরিকল্পনা নয়। জোর করে কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চায় না। এটি নিছক একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’।

বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে নাৎসি এবং গণহত্যার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ছিল। তবে রাশিয়া তার দাবিতে অনড় রয়েছে। বিদেশি গোয়েন্দা প্রধান সের্গেই নারিশকিন বলেছেন, বিশ্বে রাশিয়ার ভবিষ্যত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর লক্ষ্য ছিল, উত্তরে বেলারুশের পাশাপাশি দক্ষিণ ও পূর্ব থেকে আক্রমণ করে রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করা।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যখন ইউক্রেনকে নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার কথা বলেছিলেন, তখন ইউক্রেনের গণতান্ত্রিকভাবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, শত্রুরা আমাকে এক নম্বর টার্গেটে রেখেছে, আর দুই নম্বর টার্গেটে আমার পরিবার।

কিন্তু রাশিয়া যা সহজে করতে চেয়েছিল, ইউক্রেন তাতে বাধ সেধেছে। ইউক্রেনের প্রচণ্ড প্রতিরোধের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু এলাকায় রাশিয়ান বাহিনীকে তারা পিছিয়ে দিতেও পেরেছে। এখন রাশিয়া ঘোষণা দিচ্ছে, তাদের টার্গেট এবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল।