ইতিহাসের দফারফার ঘোষণা, নির্বাচনী মেজাজে ইমরান

পাকিস্তানের ইতিহাসে আজ রোববার, ২৭ মার্চকে ‘একটি দফারফার দিন বা নির্ধারক দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাঞ্জাবের কামালিয়া শহরে এক জনসভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। এদিন ইসলামাবাদের প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘ঐতিহাসিক’ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ, পিটিআই।

ইমরান খান, ফাইল ছবি

দ্য ডন জানায়, বিরোধী নেতাদের ‘অপরাধী’ আখ্যায়িত করে ইমরান খান বলেন, তাদের লুটপাটের দিন শেষ হয়েছে। সেই বার্তা দিতে রাজধানী জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এতে যোগ দিতে জনগণকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন তিনি। এই সমাবেশকে পিটিআইয়ের শক্তির মহড়া হিসেবে দেখে আসছেন পাক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

রেডিও পাকিস্তানের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, পিটিআই ছাড়তে সরকারদলীয় আইনপ্রণেতাদের লাখ লাখ রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। তারা প্রকাশ্যে আইনপ্রণেতাদের কিনছে। তবে ভিন্নমতাবলম্বী আইনপ্রণেতারা দ্রুত নিজ দলে ফিরে আসবেন।

ইসলামাবাদে লাল-সবুজের ঢল

বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলা বন্ধ করতে সরকারকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করার চেষ্টা চলছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, সেজন্য সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। কিন্তু এটি সফল হবে না, তারা পরাস্ত হবে।

সমাবেশে যোগ দিতে এরইমধ্যে লাল-সবুজের মিছিল নিয়ে ইসলামাবাদে হাজির হতে শুরু করেছেন পিটিআই সমর্থকরা। জাতীয় পতাকা হাতে বাসের ছাদে, ট্রেনে, ট্রাকে, প্রাইভেট কারে ইতিহাস গড়তে রাজধানীতে ছুটছেন তারা। এটিকে পাকিস্তানের ভবিষ্যতের লড়াই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রধান ইমরান খান।

এদিকে, ডনে প্রকাশিত এক কলামে প্রভাবশালী গণমাধ্যমটির সাবেক সম্পাদক আব্বাস নাসির লিখেছেন, ইমরান খান প্রতিবাদী হতে চলেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন, সংসদীয় ভোটে পরাজিত নয়, বরং বিজয়ী হবেন তিনি। তার বক্তব্যে মনে হচ্ছে, নির্বাচনী আমেজে জনসভা করছেন।

একদিকে ভোটের আগেই সমর্থকদের উদ্দেশে নির্বাচনী স্লোগান তুলছেন ইমরান খান। অন্যদিকে তার সরকারের দুই মন্ত্রী আত্মঘাতী বোমারু হওয়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে বলছেন। মনোবল চাঙা রাখতে এমন সব সাহসী কথা বললেও অনাস্থা ভোট নিয়ে চরম হতাশার মেজাজ ফুটে উঠছে এসব বক্তব্যে, বলছেন আব্বাস নাসির।