প্রধানমন্ত্রী: ইতিহাস সব সময় প্রতিশোধ নেয়

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, সত্যকে মুছে ফেলা যায় না। সেটি এখন প্রমাণ হয়েছে, ইতিহাস সব সময় প্রতিশোধ নেয়। আজ রোববার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, এসএসএফের সদরদপ্তরে ‘মুজিব কর্নার’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দেওয়া কয়েকটি গানও নিষিদ্ধ ছিল। কোথাও বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকলে কাগজ দিয়ে বন্ধ করা হতো, না হয় আঙুল দিয়ে ঢেকে রাখা হতো। এভাবে দেশের আসল ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

বিদেশে শরণার্থী হিসেবে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সে সময় নাম-পরিচয়ও দিতে পারিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে আশ্রয় নেওয়া দেশটির এমনই নির্দেশ ছিল। সেই শোক-কষ্ট সহ্য করা কতটা কঠিন। তারপরও একটা প্রতিজ্ঞা ছিল, একদিন সময় আসবে। এত আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না।

আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা

এদিন স্বাধীনতা দিবসের আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দলটির প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, যে গণতন্ত্র ক্যান্টনমেন্টে বন্দি, জিয়া বা এরশাদের পকেটে, খালেদা জিয়ার ব্যাগে ছিল, তা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণের ক্ষমতায়ন করেছি, তাতে বিএনপির নেতারা গণতন্ত্র না দেখলে বলার আর কিছু থাকে না।

এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।