বাস্তুচ্যুতদের জড়ো করা হচ্ছে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায়!

রাশিয়ার বিরুদ্ধে জনসাধারণকে জোর করে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় স্থানান্তরের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের বিধ্বস্ত শহরগুলো থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে জোরপূর্বক রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাশিয়া এই জবরদস্তিমূলক কার্যক্রম অস্বীকার করেছে। তবে রাশিয়ান এসকর্টের অধীনে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে তারা। বিবিসি।

ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ, ফাইল ছবি

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) জানিয়েছে, তারা এখনও ইউক্রেনের অবরুদ্ধ মারিওপলে সাহায্য নিয়ে ঢুকতে পারেনি। রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিরাপদ উত্তরণের গ্যারান্টি না দিলে শহরটিতে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

আইসিআরসি মুখপাত্র ম্যাট মরিস বিবিসিকে বলেছেন, পক্ষগুলোকে নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং নিরাপদে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি থাকতে হবে। তাদের রুটটি প্রচার করতে হবে এবং লোকেদের বের হওয়ার জন্য প্রচুর সময় দিতে হবে। আমরা বর্তমানে শহরটিতে প্রবেশ করতে অক্ষম।

জেলেনস্কি, ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সেখানে কাজ করছে না। তিনি বলেন, জনগণকে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত, তবে ছেড়ে যেতে বাধ্য করা উচিত নয়। মারিওপলের অনেক বাসিন্দার খাবার, পানি এবং ওষুধের মারাত্মক সংকট চলছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের নিরপেক্ষ মর্যাদা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করতে ইচ্ছুক, তবে সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ড ধরে রাখার ব্যাপারে তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়ই এই সপ্তাহে তুরস্কে নতুন শান্তি আলোচনায় বসতে চলেছে।

ফ্রান্স, গ্রিস এবং তুরস্ক মারিওপলে অবশিষ্ট ১ লাখ ৭০ হাজার বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য আলোচনা করছে। শহরটিতে রাশিয়ান বাহিনীর ক্রমাগত গোলাবর্ষণে খাদ্য ও পানির মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কিয়েভের স্কুলগুলো আজ সোমবার অনলাইনে খোলার কথা জানা যাচ্ছে।

ইউক্রেনের একজন মন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত চেরনোবিল পারমাণবিক সাইটটির চারপাশে নতুন আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ১০০ বেসামরিক লোক মারা গেছে এবং ১০ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।