পতনের দ্বারপ্রান্তে মারিওপল!

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ইউক্রেনের মারিওপল শহর শিগগির পতনের দিকে চলে যাচ্ছে। যে কোনো সময় রুশ বাহিনী শহরটি দখলে নেবে। ইনস্টিটিউটের ল্যান্ড ওয়ারফেয়ারের রিসার্চ ফেলো জ্যাক ওয়াটলিং চলমান যুদ্ধাবস্থার এক মূল্যায়নে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিবিসি।

জ্বলছে মারিওপলের একটি আবাসিক ভবন

তবে ওয়াটলিং বলছেন, কিয়েভের উত্তরে ইরপিন আরও একবার ইউক্রেনের হাতে এসেছে এবং উভয়পক্ষের মধ্যে অস্ত্র, মনোবল, সরঞ্জাম পুনরায় সরবরাহের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সাধারণত একটি ভূখণ্ড দখল করতে সৈন্য সংখ্যা শত্রুবাহিনীর তিনগুণ হতে হয় এবং শহুরে পরিবেশে আরও বেশি অনুকূল দরকার হয়।

তিনি বলেন, এসব কিছু প্রমাণ করে রাশিয়ানদের আর্টিলারি হামলার অগ্রগতি নেই। এই মুহূর্তে রুশ বাহিনী সত্যিই দুর্বল। তবে খুব সম্ভবত মারিওপলের পতন হতে যাচ্ছে। রাশিয়ান বাহিনী এখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানায় মনোনিবেশ করেছে। ডনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো গর্জে উঠতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের সেরা কিছু ইউনিট সেখানে দীর্ঘতম লড়াইয়ে লিপ্ত।

উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন ইউক্রেনের ৫০ লাখ মানুষ

বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের গোলাবারুদও কমে আসছে। তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য এটা একটা বড় ধাক্কা হবে। এরপরও যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ নেই।

অপরদিকে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ইউক্রেন সুমির উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চলের কাছে ট্রস্টিয়ানেট শহরটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। রুশ বাহিনী পূর্ব ডোনবাস অঞ্চলের দিকে মনোনিবেশ করার কারণে কিয়েভের দিকে রাশিয়ার অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়েছে।

২৪ ফ্রেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এ পর্যন্ত যুদ্ধে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। গোটা ইউরোপ এখন শরণার্থীর দেশে পরিণত হয়েছে। শরণার্থী সংকট জার্মানি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। পোল্যান্ড ২৫ লাখের মতো শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে, যার মাধ্যমে দেশটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীর ধাক্কা লেগেছে।