চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে সৌদিতে রোজা

সৌদি আরবে আগামীকাল শনিবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি স্থান থেকে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান জ্যোতির্বিদ আবদুল্লাহ আল খুদাইরি।

সৌদি আরবে ইফতারের দৃশ্য, ফাইল ছবি

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখা হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক মুসলমান রোজা-ঈদ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে অনুসরণ করেন।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৯০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর আল-মাজমাহতে দেশটির প্রধান চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আল-মাজমাহ ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের নেতৃত্বে এ কমিটি ছাড়াও তুমাইর, রিয়াদ, মক্কা ও অন্যান্য শহরে দ্বিতীয় স্তরের কমিটিগুলো চাঁদ দেখা কার্যক্রমে অংশ নেয়।

একইভাবে রমজান মাসের পবিত্র চাঁদ দেখতে বেশ কয়েকটি ইসবেত অধিবেশন আয়োজন করে বিশ্বের সবচেয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি শুক্রবার মাগরিব নামাজের পর বৈঠকে মিলিত হয় আবুধাবির বিচার বিভাগের কার্যালয়ে। দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী আবদুল্লাহ সুলতান বিন আওয়াদ আল নুয়াইমির সভাপতিত্বে এ বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত দেশ ব্রুনেইতে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ৩ এপ্রিল রোববার থেকে রমজান শুরু হবে বলে জানায় সেদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়। একই ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। রোববার থেকে রোজা রাখবেন এ দুটি দেশের মুসলমানরা।

এদিকে ইমাম কাউন্সিল অব সাউথ অস্ট্রেলিয়া এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে এবং সে অনুযায়ী শনিবার থেকে রোজা শুরু হবে। 

পবিত্র রমজান মাসকে স্বাগত জানিয়ে নানা প্রস্তুতি নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা। ইয়েমেন, মরক্কো, মিশর, ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি দেশে সড়ক, মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সৌদি আরবের পবিত্র হারামাইন শরিফে সম্পন্ন হয়েছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।

কাবা শরীফের ছাদ পরিষ্কার, অঙ্গসজ্জার পাশাপাশি মসজিদুল হারামে তিনজন মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোভিড প্রাদুর্ভাবের কারণে দুই বছর বিরতির পর মদিনায় মসজিদে নববির আদি ভবনে শুক্রবার মাগরিব থেকে আবার জামাত আদায় শুরু হয়েছে। জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদের আঙিনা ধোয়া এবং আসা-যাওয়ার পথ ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেছেন ফিলিস্তিনের মুসলমানরা।