ইউনেস্কো: ইউক্রেনে ৫৩ ঐতিহাসিক স্থান ক্ষতিগ্রস্ত

জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের অন্তত ৫৩টি সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৯টি গীর্জা, ১৬টি ঐতিহাসিক ভবন, চারটি জাদুঘর এবং চারটি স্মৃতিস্তম্ভ। ক্ষতিগ্রস্ত সাইটগুলোর মধ্যে বেশ কিছু রয়েছে ইউক্রেনের দুটি বৃহত্তম শহর কিয়েভ এবং খারকিভে। এছাড়া অন্যতম প্রাচীনতম শহর চেরনিহিভেও কিছু নিদর্শন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিবিসি।

ইউনেস্কো

একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহাসিক স্থানের এটা সর্বশেষ তালিকা। তবে তালিকা আরও লম্বা হবে। কারণ আমাদের বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন যাচাইয়ের কাজ করছেন। ইউনেস্কো বলছে, তারা ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করতে স্যাটেলাইট ছবি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের রিপোর্ট ব্যবহার করছে।

হোস্টোমেল বিমানবন্দর থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহার: যুক্তরাজ্যের সামরিক গোয়েন্দাদের মতে, ইউক্রেনের রাজধানীর নিকটবর্তী হোস্টোমেল বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ান বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখানে শুরু থেকেই যুদ্ধ চলমান ছিল।

রাশিয়ান বাহিনী প্রত্যাহারের সাথে সাথে ইউক্রেনীয় বাহিনী কিয়েভের আশেপাশে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ শনিবার সকালের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে। পূর্ব অক্ষ বরাবর ইউক্রেন বেশ কয়েকটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। পূর্বে ইউক্রেনীয় বাহিনী ভারী লড়াইয়ের পর পূর্ব খারকিভের একটি মূল পথ সুরক্ষিত করেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রচণ্ড লড়াই চলছে হোস্টোমেল শহরে। রাশিয়ান বিমানবাহী সৈন্যরা শহরটির কার্গো এয়ারপোর্ট দখল করতে হেলিকপ্টারে করে এসেছিল। হোস্টমেল একটি ছোট এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর। যুদ্ধের আগে এটি ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কার্গো বিমানবন্দর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বিমানঘাঁটি।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ রেড ক্রস আজ শনিবার মারিওপল শহর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুনরায় চেষ্টা করছে। সংস্থাটি ৫৪টি বাস এবং অনেক গাড়ি পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল যাতে হাজার হাজার লোককে শহর থেকে সরিয়ে আনা যায়। কিন্তু রাশিয়ান বোমা হামলায় তা ব্যর্থ হয়।

শুক্রবার রেড ক্রসের মুখপাত্র বলেছেন, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কোনো গ্যারান্টি রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। আজ শনিবারও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে রেডক্রস। গত মাসে বেশ কয়েকটি উচ্ছেদের প্রচেষ্টা বাতিল করা হয়েছে, কারণ রাশিয়া পলায়নরত নারী-পুরুষের ওপরও হামলা চালাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের এ অভিযোগ রাশিয়া অস্বীকার করেছে। মারিওপলে আটকা পড়েছে অন্তত ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।