বীভৎস বুচা শহর, অলিতে-গলিতে মৃতদেহ

ইস্তাম্বুলে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের কিছু কিছু শহর ছেড়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের ভাষায়, তারা চলে যাচ্ছে খুবই ধীর গতিতে। এরপর রাশিয়ার ছেড়ে যাওয়া ওই শহরগুলোতে প্রবেশ করে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছেন অনেকে। কারণ পুরো শহর যেমন ক্ষত-বিক্ষত, তেমনি শহরের রাস্তাজুড়ে পড়ে আছে অসংখ্য মৃতদেহ।

বিধ্বস্ত বুচা শহর

সম্প্রতি ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার কাছ থেকে বুচা নামের একটি কমিউটার শহর পুনরুদ্ধার করে। এরপর থেকে সেখানে চলছে কেবল মৃতদেহ উদ্ধার। কিয়েভের বাইরে অবস্থিত শহরটির মেয়র জানান, এরই মধ্যে একটি গণকবরে প্রায় তিনশ জনকে দাফন করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক জানান, বুচায় আমরা ইতিমধ্যেই ২৮০ জনকে গণকবরে দাফন করেছি। ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়া শহরের রাস্তাগুলো এখনো লাশে ছেয়ে গেছে। এ সমস্ত ব্যক্তিকে মাথার পেছনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

মেয়র জানান, তিনি বুচার রাস্তায় কমপক্ষে ২২টি মৃতদেহ দেখেছেন। তবে বোমার ফাঁদ পাতার আশঙ্কা থাকায় মৃতদেহগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

ফেডোরুকের উদ্ধৃতি দিয়ে আল জাজিরার রব ম্যাকব্রাইড বলেন, রাশিয়ার সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এগুলো মূলত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যা। বুচা শহরবাসী যখন অন্য কোথাও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তখন তাদেরকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শহরটিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভয়ঙ্কর লড়াই চলেছে। প্রায় এক মাস এটি রাশিয়ার দখলে ছিল।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বুচার মতো অন্যান্য শহরেও রাশিয়ার সেনাবাহিনী এমন তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, বুচাতে যেমন নৃশংতার নিদর্শন পাওয়া গেছে, অন্য শহরগুলোতেও এমন কিছু পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।