আপনি পড়ছেন

সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যাভ্যাস, পোশাক থেকে শুরু করে নানা ইস্যুতে ভারতের জনজীবনে বিজেপির বিভেদ সৃষ্টির প্রবণতায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। মুসলমানদের গণহত্যা ও মুসলিম নারীদের ধর্ষণের আহ্বান জানিয়ে একের পর এক ঘৃণা-উদ্রেককারী বক্তব্যের (হেইট স্পিচ) বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবং এসব বক্তব্যদাতার প্রতি সরকারের প্রশ্রয় থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলগুলো। সমাজে এমন বিভাজন ও বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টা দেখেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতায় তীব্র হতাশা ব্যক্ত করেছে এসব বিরোধী দল।

indian opposition issues joint statement against communal polarizationভারতে সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে ১৩ দলের বিবৃতি

বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের নানা ধর্ম ও নানা ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি সভাপতি শারদ পাওয়ার, তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারপারসন ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, ডিএমকে সভাপতি ও তামিল নাডুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনসহ বিরোধী দলীয় নেতারা।

বিবৃতিতে বলা হয়- ‘আমরা, নিম্ব স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলের নেতারা এ আবেদন জানাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। খাদ্য, পোশাক, ধর্মবিশ্বাস, উৎসব ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোকে যেভাবে ক্ষমতাসীনদের একটি অংশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করছে, আমরা তাতে ভীষণভাবে ক্ষুদ্ধ। দেশে যেভাবে হেইট স্পিচের ঘটনা বাড়ছে, এমন সব লোক হেইট স্পিচ দিচ্ছেন যাদের পেছনে সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা আছে বলে মনে হয় এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর, জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, আমরা এসব ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

indian opposition issues joint statement against communal polarization 1ভারতে সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে ১৩ দলের বিবৃতি

আরও বলা হয়- ‘সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই। যেসব এলাকায় সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেখানে এক ধরনের অশুভ চক্রান্ত ছিল বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আভাস মিলেছে। আমরা এতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেখা গেছে, উসকানিমূলক হেইট স্পিচের পর ধর্মীয় শোভাযাত্রা হয়েছে এবং সেখান থেকেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিদাতারা বলেন- ‘সরকারি পৃষ্ঠপোশকতায় যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ও অডিও-ভিজুয়াল প্ল্যাটফর্মগুলোকে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, আমরা তাতে গভীরভাবে ব্যথিত বোধ করছি। আমরা এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নিরবতায় আশাহত। যাদের কথা ও কাজে বিদ্বেষ ছড়ায় এবং সমাজে উসকানি সৃষ্টি হয়, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিরবতা প্রমাণ করছে যে এসব বেসরকারি, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা ভোগ করছে।’

তারা বলেন- ‘শত শত বছর ধরে ভারতকে সংজ্ঞায়িত ও সমৃদ্ধ করেছে যে সামাজিক সম্প্রীতি, তা জোরদারে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। যে বিষাক্ত মতবাদ সমাজে বিভাজন তৈরি করছে, আমরা সেগুলো মোকাবেলার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করছি। যারা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ জোরদার করতে চায়, তাদের অশুভ চক্রান্ত ব্যর্থ করতে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার জন্য আমরা সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই। শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করার জন্য সারাদেশে আমাদের দলের শাখাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।’

বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেন- সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ঝাড়খ- মুক্তি মোর্চার নির্বাহী সভাপতি ও ঝাড়খ-ের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি ও জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ড. ফারুক আবদুল্লাহ, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদভ, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি. রাজা, ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস, রেভল্যুশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, আইইউএমএল সাধারণ সম্পাদক পি.কে. কুনহালিকুট্টি ও সিপিআই-এম লিবারেশন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.