পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন বিলাওয়াল ভুট্টো!

পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি, পিপিপির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। দেশটির নতুন সরকারের মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই পদটি পাচ্ছেন বিলাওয়াল। ধারণা করা হচ্ছে- অর্থ, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পার্টির হাতেই থাকবে। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি

এর আগে, সাংবাদিকদের সাথে একটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় পিপিপি নেতা খুরশিদ শাহ জানান, পিএমএল-এন ১৪টি মন্ত্রণালয়সহ মন্ত্রিসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। অন্যদিকে পিপিপির ১১টি এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে (জেইউআই-এফ) চারটি মন্ত্রণালয় দেওয়া হবে। বাকি সাতটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে জোটের অন্য শরিকদের।

কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, বিলাওয়াল ভুট্টোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু পিপিপির এই নেতা ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্বটি নিতে অনাগ্রহী ছিলেন। তার বিশ্বাস, এ দায়িত্বভার পিপিপির চেয়ারম্যান হিসাবে তার কাজকে প্রভাবিত করতে পারে। তার দল মনে করছিল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা খারকে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেখে বিলাওয়ালকেই পুরো মন্ত্রিত্ব দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে বিদেশি পক্ষগুলোর সাথে সাক্ষাতের দায়িত্ব বিলাওয়ালের ওপর থাকবে, অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কাজগুলোর আঞ্জাম দেবেন খার।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাথে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি

হিনা খার ২০১১-১৩ মেয়াদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি ছিলেন এই পদে থাকা সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং প্রথম নারী। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইউসুফ রাজা গিলানি। এবার বিলাওয়ালও ৩৩ বছর বয়সে এই গুরু দায়িত্ব সামলাতে যাচ্ছেন।

খারের তিনবছর মেয়াদের সময় বেশ কিছু বড় বড় ঘটনা ঘটেছিল। অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন হত্যা, সিআইএ ঠিকাদার রেমন্ড ডেভিস কর্তৃক লাহোরে দুই পাকিস্তানি গোয়েন্দা সদস্যকে হত্যা, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর হাতে ২৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার মতো আলোচিত তিনটি ঘটনাই ঘটেছিল খারের প্রথম বছরে।

এদিকে শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ নেওয়ার কথা ছিল গতকাল সোমবার রাতে। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুগত রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি শপথ গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার বা কাল বুধবার সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।