মে মাসে কি ফের যুদ্ধে জড়াবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন!

নতুন বছরের চার মাস পার হয়ে আবারও মে মাস সমাগত। এই মাসে প্রতিবছর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত চাউর হয়। মে মাস বা কাছাকাছি সময়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ হলো মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান এবং ইহুদিদের পাসওভার উৎসব একইসঙ্গে একই সময়ে উদযাপন। সেই উত্তেজনার মধ্যে গতকাল সোমবার রাতে আবারও গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইরসায়েল। দ্য গার্ডিয়ান।

গাজায় ইসরায়েলি রকেট হামলা

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সহিংসতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন বসার কথা ছিল। গত বছরের একই সময়ে জেরুজালেমে অনুরূপ সহিংসতা শুরু হয়েছিল। হামাস কর্তৃক ইসরায়েলে বারবার রকেট ছুড়লে যুদ্ধ ১১ দিনে গড়ায়।

বলা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে ছোড়া রকেটের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল সোমবার রাতে রকেট হামলা চালায়। জেরুজালেমের পবিত্র স্থানকে ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতার পর উত্তেজনা বেড়েছে। ওই রাতে দক্ষিণ ইসরায়েলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। চলতি বছরে এ ধরনের হামলা প্রথম ঘটল। হামাসের ছোড়া রকেটটি তেল আবিবের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয় বলে ইসরায়েলের দাবি।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি রকেট গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। রকেটটি আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারা আটকানো হয়। কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিশোধ হিসেবে হামাসের অস্ত্র তৈরির এলাকায় আঘাত হানে ইসরায়েলি বিমান।

গাজার প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিরাপত্তা সূত্রের মতে, হামাস বিমান হামলা মোকাবেলায় ‌বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবহার করেছে। এর ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দার জনাকীর্ণ ছিটমহল গাজার কোনো সংগঠন রকেট হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসরায়েলে ধারাবাহিক আক্রমণ এবং জেরুজালেমের পবিত্র স্থানে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরে ঘটনাটি ঘটল।

ইসরায়েলের লক্ষ্যে সমস্ত রকেট ফায়ারের জন্য হামাসকে দায়ী করে দখলদার ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে সাধারণত বিমান হামলা চালানো হয়। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে এবং তার আশেপাশে সম্প্রতি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সহিংসতায় ১৭০ জনের বেশি লোক আহত হয়। আহতদের বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী।

নাফতালি বেনেটের সরকার বারবার ঘোষণা করেছে, বিক্ষোভকারীদের মোকাবেলায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি হাত রয়েছে। হামাস রোববার সতর্ক করেছিল, আল-আকসা আমাদের এবং আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রার্থনা করার অধিকার রক্ষার শপথ করেছি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সোমবার বলেছেন, উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে ওয়াশিংটন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আরব দেশগুলোর প্রতিপক্ষের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা সব পক্ষকে আল-আকসা প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপ এড়াতে আহ্বান জানিয়েছি।