রাশিয়া: 'বিশেষ সামরিক অভিযান’র দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে

পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে নিজেদের ভাষায় বিশেষ যে সামরিক অভিযান রাশিয়া শুরু করেছে, তার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। আজ মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, ফাইল ছবি

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইন্ডিয়া টুডে নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এর দ্বিতীয় ধাপ শুরু করেছে রাশিয়া।

তিনি এই অভিযানের উদ্দেশ্য পুনর্য্ ক্ত করে বলেন, বিশেষ এই সামরিক অভিযানের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো— ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং নাৎসিকরণ হতে রক্ষা করা। কারণ এই দুটি বিষয় নিবিড়ভাবে একের অপরের সঙ্গে জড়িত সমস্যা।

ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনের পূর্বে অভিযানের লক্ষ্য হলো, দোনেস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে পুরোপুরি স্বাধীন করা। এই অভিযান চলতে থাকবে এবং অভিযানের পরবর্তী পর্যায় শুরু হতে হচ্ছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, অভিযানের এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারো বলেন যে, কিয়েভ ও তার পশ্চিমা সমর্থকরা রাশিয়াকে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে, কারণ তারা মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়ন তথা মস্কোর নিরাপত্তা গ্যারান্টির দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

রাশিয়ার প্রবীণ এই কূটনীতিক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির মূলে রয়েছে ‘যুক্তরাষ্ট্র বা আমরা যাকে সম্মিলিতভাবে পশ্চিমা বলি, তাদের বিশ্বের ওপর শাসন ও কর্তৃত্ব করার আকাঙ্ক্ষা। কারণ তারা চায়, বিশ্বে তাদের একক কর্তৃপত্ব থাকবে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না।

ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কোনো প্রতিক্রিয়ার ভয়-ডর ছাড়াই এবং দায়মুক্তির সাথে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও যুগোস্লাভিয়ার মতো দেশগুলিতে আক্রমণ করেছে৷

তিনি বলেন, মস্কো আগে থেকেই সতর্ক করেছিল যে, পশ্চিমরা ‘ইউক্রেনে অস্ত্র ঢুকাচ্ছে’ এবং রাশিয়ার সীমানায় তাদের সামরিক জোট সম্প্রসারণের মাধ্যমে এটিকে ‘ন্যাটোর স্প্রিংবোর্ড’ করার চেষ্টা করছে।

কিন্তু পশ্চিমারা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণার কারণে এই উদ্বেগগুলোকে উপেক্ষা করেছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি তৈরির পেছনে ভূমিকা রেখেছে, যোগ করেন ল্যাভরভ।