কে এই রাসমাস পালুদান

সুইডেনে পবিত্র কুরআন পোড়ানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এর নেপথ্যে আছেন রাসমাস পালুদান নামের এক ব্যক্তি। কে এই রাসমাস পালুদান? আল জাজিরার অনুসন্ধানে জানা যায়, রাসমাস পালুদানের বাবা একজন সুইডিশ নাগরিক। পালুদান প্রথম জনসাধারণের নজরে আসেন ২০১৭ সালে, যখন তিনি ইউটিউবে মুসলিম বিরোধী ভিডিও তৈরি করা শুরু করেন। আল জাজিরা।

রাসমাস পালুদান

পালুদান ডেনমার্কে মুসলিমবিরোধী কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো, বিশ্বনবী (সা.) এর মূর্তি তৈরি ইত্যাদি। বাকস্বাধীনতার নামে রাসমাস পালুদান এই জঘন্য কাজগুলোর পেছনে নেতৃত্ব দেয়।

পালুদান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একটি ভিডিওতে বলেছিলেন, তার শত্রু ইসলাম ও মুসলমান। সবচেয়ে ভালো হবে যদি এই পৃথিবীতে একজনও মুসলিম অবশিষ্ট না থাকে। তাহলে আমরা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে যেতাম।

ডেনমার্কে বর্ণবাদী বক্তৃতার জন্য পালুদানকে ২০১৯ সালে ১৪ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এক বছর পরে বর্ণবাদ, মানহানি এবং বিপজ্জনক ড্রাইভিংয়সহ ১৪টি বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন ও কারাদণ্ডের মুখোমুখি হন।

পালুদান ২০১৯ সালের শেষ ডেনিশ জাতীয় নির্বাচনে একটি আসনেও জিততে পারেননি। ২০২৩ সালের জুনে অনুষ্ঠিতব্য ভোটে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু তার প্রার্থীতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর নেই বলে জানা গেছে।

ওআইসির নিন্দা: সুইডেনে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের কপি পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা মুসলিম বিরোধী বিক্ষোভের সময় পবিত্র কুরআনের কপি পোড়ানোর উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। ইয়ানি সাফাক।

লিংকোপিং, নররকোপিং এবং সুইডেনের অন্যান্য শহরে মুসলিমবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। প্যান-মুসলিম গ্রুপিং বলছে, অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি চরম উগ্র সমর্থকদের দ্বারা স্থায়ী ইসলামোফোবিয়ার উদ্বেগজনক প্রবণতা নিয়ে মুসলমানদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

ওআইসি প্রধান অবশ্য বলেছেন, কুরআন পোড়ানোর ঘটনা অধিকাংশ সুইডিশ এবং ইউরোপীয় নাগরিকদের মতামতকে প্রতিফলিত করে না। গত সপ্তাহে সুইডেনের দক্ষিণ লিংকোপিং শহরে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থের একটি কপি পুড়িয়ে দেয় ডানপন্থী স্ট্রাম কুরস (হার্ড লাইন) দলের নেতা রাসমুস পালুদান। পরবর্তী এক সমাবেশে তিনি আবারও কোরআনের কপি পোড়ানোর হুমকি দেন।

তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরান এবং বেশ কয়েকটি আরব ও মুসলিম দেশ ও সংস্থা কুরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছে। তারা এই কাজটিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উসকানি হিসেবে অভিহিত করেছে।