আজাদ কাশ্মিরে ইলহান ওমর, দিল্লির তীব্র নিন্দা

মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির (পিওকে) সফরে গিয়ে সেখানকার প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর সাথে সাক্ষাত করেছেন। তার ওই সফরের ব্যাপক নিন্দা জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তার সংকীর্ণমনা রাজনীতি ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। খবর জিও নিউজ।

আজাদ কাশ্মিরের প্রেসিডেন্টের সাথে ইলহান ওমর

আজাদ কাশ্মিরের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাতের সময় ইলহান ওমর বলেন, আমি এরইমধ্যে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। মার্কিন কংগ্রেসের পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসনের কাছেও আবারো বিষয়টি তুলে ধরব।

পরে আজাদ কাশ্মিরের প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ইলহান ওমর মানবাধিকারের বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি এর আগেও অধিকৃত কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদনগুলো তদন্ত করার জন্য শুনানি করেছে এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের মুসলিম বিরোধী বক্তব্য ও এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে।

আরো বলেন, তবে কংগ্রেসের মধ্যে এবং বাইডেন প্রশাসনে ভারত অধিকৃত কাশ্মির নিয়ে যতটা কথা বলা দরকার, আমার মনে হয় না ততটা হচ্ছে। আমি মনে করি, যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন আমার সফরের পর বিষয়টি নিয়ে আরো বেশি আলোচনা হবে এবং কাশ্মিরের মানুষদের বিষয়ও এর সাথে জড়িত থাকবে।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমর গত বুধবার চারদিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানে পৌঁছান। ইলহান ওমর এরইমধ্যে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং অন্যান্য সরকারি নেতাদের সাথে সাক্ষাত করেছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমরের সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি ইলহান ওমর ভারতের কেন্দ্র শাসিত জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের একটি অংশ পরিদর্শন করেছেন, যা পাকিস্তানের দ্বারা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। তার মতো রাজনীতিবিদ ঘরে বসে সংকীর্ণ মানসিকতার রাজনীতির চর্চা করতে পারেন। কিন্তু ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা এ ধরনের সফর খুবই নিন্দনীয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্য থেকে নির্বাচিত ৩৯ বছর বয়সী ইলহান ওমর গতবছর মার্কিন কংগ্রেসে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন, যা পাস হয়েছিল। হোয়াইট হাউসও ওই বিলকে সমর্থন করেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বর্ণবাদ ও ইসলামোফোবিয়া থেকে শুরু করে গাজা, কাশ্মিরের মানুষের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার থাকেন।