অকুতোভয় ফিলিস্তিনিদের অদ্ভুত প্রতিবাদ, হতভম্ব ইসরায়েলি সেনারা

রমজানের প্রথম ২০ দিনে আল-আকসা প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর তিন থেকে চার দফা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শত শত ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এর মোকাবেলায় নতুন ধরনের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা। এতে বিব্রত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। খবর মিডলইস্টআই।

নট বজিং প্রতিবাদে অকুতোভয় দুই বৃদ্ধ

ফিলিস্তিনিরা ‘নট বজিং’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নতুন ধরনের এক আন্দোলন শুরু করেছে। যাকে বলা যায় ‘নড়ছি না’ আন্দোলন। এ ধরনের প্রতিবাদের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ছবিতে দেখা যায়, আগ্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর সামনে কখনো চেয়ার পেতে নিশ্চিন্তভাবে বসে আছেন কোনো ফিলিস্তিনি শায়খ। কখনোবা ইসরায়েলি সেনাদের সামনে নিসংকোচে জায়নামাজ বিছিয়ে শুয়ে পড়েছেন কোনো ফিলিস্তিনি শায়খ।

আবার কখনো দেখা যাচ্ছে, শিশুরা চেয়ার বিছিয়ে অথবা মাটিতে বসেই শুরু করেছে কুরআন তেলাওয়াত, আবার কখনো কোনো যুবক চেয়ারে উল্টো হয়ে বসে যেন ইসরায়েলি সেনাদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন।

নট বজিং প্রতিবাদে দুই কিশোরীর কুরআন তেলাওয়াত ও এক যুবকের অবস্থান

এ ধরনের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ছবিগুলোর প্রত্যেকটিতেই বেশ কাছাকাছি অবস্থানে সশস্ত্র ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। এ ধরনের প্রতিবাদের মুখে তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে। ফলে অনেক কিছু করতে চাইলেও যেন কিছুই করতে পারছে না তারা।

জানা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সবুজ ইঙ্গিত পাওয়ার পর থেকে দেশটির সেনারা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার পরিমাণ আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছে। গত শুক্রবার তাদের হামলায় ১৫২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি বাহিনী।

‘নট বজিং’ মানে কি?

‘নট বজিং’ মূলত কিফাহ জারাইকির একটি জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি গান ‘আনা ইবনুল কুদস’ বা ‘আমি আল কুদসের ছেলে’ থেকে এর আরবি শব্দগুলো এসেছে। গানটির এক পর্যায়ে বলা হয়েছে, ‘আমি আল-কুদসের ছেলে, আমি নড়ছি না, আমি এখানেই বসেছি’।

এ গান এবং এ দুটি শব্দ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সবাই এই ‘নট বজিং’ আন্দোলন শুরু করেছেন, যাতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট বিব্রত দেখা যাচ্ছে।