শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনে মনোযোগ তালেবানের

প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের দিকে শক্ত মনোযোগ দিয়েছে তালেবান সরকার। সেনাদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নে দেশটির সরকার বাড়তি মনোযোগ দিয়েছে। সম্প্রতি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ২০৫তম আল-বদর সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৭৫০ সৈন্য স্নাতক হয়েছে। ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস অফিস রোববার একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বাখতার নিউজ।

ইসলামিক আমিরাত অব আফিগানিস্তানের কর্মকর্তারা

ক্যাডেটদের স্নাতক উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে সামরিক ও আদর্শিক প্রশিক্ষণের পর ৭৫০ জন সৈনিক স্নাতক প্রশংসাপত্র গ্রহণ করেন। গ্র্যাজুয়েট ক্যাডেটরা যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল এবং দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ হিসেবে শপথ নেন।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: আফগানিস্তানে সফলভাবে ক্ষমতা দখল করার পর তালেবান বর্তমানে অভ্যন্তরীণ পুনর্গঠন করছে। সরকারে নেতৃত্বের মডেল এবং সামরিক শক্তির বিকাশ দুটির দিকেই প্রধান ফোকাস করা হচ্ছে।

তালেবান আফগান সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক পাইলট ওয়াহেদুল্লাহ হাশিমি ক্ষমতা দখলের পরই বলেছিলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নতুন নিয়োগ কতটা সফল হবে সেটাই দেখার বিষয়। গত ২০ বছরে যুদ্ধে তালেবানের হাজার হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে তালেবান মার্কিন-প্রশিক্ষিত আফগান পাইলটদের কাছে টানছে।

হাশিমি বলেন, তালেবান একটি নতুন জাতীয় বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। বাহিনীতে নিজস্ব সদস্যদের পাশাপাশি যোগ দিতে ইচ্ছুক সরকারি সৈন্যরাও থাকছে। তাদের বেশিরভাগই তুরস্ক, জার্মানি এবং ইংল্যান্ডে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তাই আমরা তাদের গুরুত্ব দিচ্ছি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, তালেবান নিয়োগ নীতিতে কিছু পরিবর্তন এনেছে। সেনাবাহিনীতে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আমাদের দরকার হলে ঘানি সরকারের প্রশিক্ষিত সেনাদের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছি। এখন আমাদের বিমানবাহিনীও বেশ সমৃদ্ধ হয়েছে।

তালেবানদের দরকার ছিল পাইলট। বিভিন্ন আফগান বিমানঘাঁটিতে হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য বিমান এখন তালেবানের হাতে। এজন্য আগের বিমানবাহিনীর পাইলটরা তালেবান বাহিনীতে গুরুত্ব পাচ্ছেন।

২০২১ সালের আগস্টে কাবুল দখল করে নেয় তালেবান সেনারা। তারা স্বল্প শক্তির অস্ত্র নিয়ে যে ক্যারিশম্যাটিক যুদ্ধ দেখিয়েছে, তাতে পুরো বিশ্ব অবাক হয়ে গিয়েছিল। এমনকি মার্কিনিরাও কল্পনা করতে পারেনি, তালেবান এত দ্রুত সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। এখন অবশ্য তালেবান সরকার স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করছে। তবে এক বছর পার হতে চললেও কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।