‘সর্বোচ্চ সক্ষমতা’ স্বত্ত্বেও রেলওয়ের টিকিট ভোগান্তি

বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে রয়েছে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা সরবরাহের অন্যতম মাধ্যম ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক। দেশের এ সংক্রান্ত ৬টি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচাইতে উৎকৃষ্ট ফাইবার হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। অথচ এমন প্রযুক্তি সেবা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন সেবা অত্যন্ত নাজুক।

রেলের টিকিট

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট প্রদানে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম-সমস্যা থাকার পরও প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে ‘প্রযুক্তিবান্ধব’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যখন সারা দেশের সড়কে দুর্ভোগ তখন রেলের ওপর চাপ পড়বে এটাই স্বাভাবিক। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে সহজ ডটকমকে দায়িত্ব দেওয়ায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে গণমাধ্যম এবং আমাদের পর্যবেক্ষণে।’

টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন ফাইবার নেটওয়ার্ক পাওয়া সম্ভব একমাত্র রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠানের ফাইবার অন্যরা ব্যবহার করে মুনাফা অর্জন করলেও রেলওয়ে তার নিজস্ব ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না।

‘প্রয়োজনে তারা কারিগরি সহায়তার জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, এমনকি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারত। এতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণকে সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো।’

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি। জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দ্রুত সমন্বয় করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিবান্ধব সেবা প্রদানে রেলওয়েকে একীভূত করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। এর পাশাপাশি চলমান দুর্ভোগের জন্য বর্তমানে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক।