এতদিন পর ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে নতুন তথ্য

৯/১১-এর হামলার অভিযোগে ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ঘটনার ১১ বছর পর আবারো আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। দাবি করা হচ্ছে, আরো কিছু নাশকতামূলক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ ছিল তার। বিন লাদেন হত্যার সময় আটক করা কিছু নথি সম্প্রতি জনসমক্ষে প্রকাশ করে মার্কিন নেভি সিলস। ওইসব নথিতে এমন নির্দেশনা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওসামা বিন লাদেন ও টুইন টাওয়ার হামলা

মার্কিন নেভি সিলস জানায়, ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ এর ওই হামলার পর সাবেক আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন।

আবার সিবিএস নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওসামা বিন লাদেন যাত্রী বিমানের পরিবর্তে প্রাইভেট জেট ব্যবহার করে আরেক দফা হামলা চালাতে চেয়েছিলেন। একান্তই তা সম্ভব না হলে রেললাইনের ১২ মিটার অংশ কেটে নিয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত করার পরিকল্পনা ছিল।

পাকিস্তানের এই বাড়িতেই হত্যা করা হয় ওসামা বিন লাদেনকে

ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় আল-কায়েদা নিয়ে গবেষণা করা লেখক ও ইসলামিক পণ্ডিত নেলি লাহাউদ বলেছেন, ৯/১১-এর ঘটনার পর বিন লাদেন তার সংগঠনের সাথে তিন বছর যোগাযোগ করেননি। ২০০৪ সালে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করে তিনি একই ধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। ওসামা বিন লাদেনের পৃষ্ঠার ব্যক্তিগত চিঠিপত্র এবং নোটগুলো পরীক্ষা করে এ দাবি করেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে লাহাউদ ওসামা বিন লাদেনের লেখা একটি চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তিনি যাত্রীবাহী বিমানের চেয়ে একটি চার্টাড প্লেনের মাধ্যমে হামলা চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর তা সম্ভব না হলে রেললাইন লাইনচ্যুত করার প্রস্তাব দেন তিনি।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে আছড়ে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী বিমান। পেন্টাগনেও আছড়ে পড়ে একটি বিমান। এ ঘটনার জের ধরে আল কায়দার বিনাশ ঘটাতে ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী।

এক পর্যায়ে তালেবানকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় দুই দশক পর তারা আফগানিস্তান ত্যাগ করলে তালেবান আবারো প্রশাসনে চলে আসে। এর মধ্যে ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যাা করে মার্কিন বাহিনী।

পশ্চিমা বিশ্ব এ হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করলেও অনেকে এর পেছনে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র খুঁজে পান। কারণ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক অমিমাংসীত প্রশ্নের উত্তর এখন অবধি পাওয়া যায়নি।